তেলাঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটকে পড়াদের একজনের দেহের সন্ধান মিলেছে!!
বছরের রিপোের্ট কার্ড দিলেন রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে প্রথম রাজ্য ত্রিপুরা,যেখানে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।পাঁচ বছর সরকার পরিচালনার পর ২০২৩ সালে পুনরায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। দুই ধাপে সব মিলিয়ে সাত বছর অতিক্রান্ত হলো বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের। সাত বছর পেরিয়ে এখন অষ্টম বর্ষে পা রাখলো। সরকারী ভাবে আগামী ৮ মার্চ রাজধানীর রবীন্দ্রভবনে বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হবে। দলীয়ভাবে আগামী ৯ মার্চ রাজধানীর বিবেকানন্দ ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশের মাধ্যমে বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হবে। যদিও এই বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের প্রচার নিয়ে জনমনে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এটি দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি, নাকি সপ্তম বর্ষপূর্তি? এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সে যাই হোক, ২০১৮ থেকে ২০২৫ এই সাত বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিপ্লব কুমার দেব দায়িত্ব পালন করেছেন সাড়ে চার বছর। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকালে গত সাত বছরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কতটা সাফল্য? গত সাত বছরে রাজ্যের অগ্রগতি কতটুকু? রাজ্যবাসীর জীবনযাত্রার মান কতটুকু উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশ কতটা হয়েছে? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের জবাব এবং খতিয়ান রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।তাই এইসব বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম রাজ্য মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সদস্য রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথের কাছে।তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে জানান, গত সাত বছরে ত্রিপুরায় যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে তা নজিরবিহীন।আজ সত্যিই প্রমাণিত ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’।তিনি বলেন, আমরা পুঁজিবাদে বিশ্বাসী নই, আমরা সমাজবাদেও বিশ্বাসী নই, আমরা একাত্ম মানববাদে বিশ্বাসী। অর্থনীতির সাথে সংস্কৃতির সুসম্পর্ক স্থাপন করে আমরা একাত্ম মানববাদে বিশ্বাস করে এগিয়ে চলেছি।আমরা এক ত্রিপুরা এক পরিবার এক ভবিষ্যতে বিশ্বাসী। আমরা সাত বছর পেরিয়ে অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছি। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রথমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে গোটা কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রথম বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং দ্বিতীয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে। তাঁদের ঐকান্তিক প্রয়াসের কারণে গত সাত বছরে ত্রিপুরা আজ অগ্রণী রাজ্যের মধ্যে বিশেষ স্থান অর্জন করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে ১৯৭২ সালে। ওই সময় রাজ্যের লোক সংখ্যা ছিলো ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার।
৭২-৭৩ সালে প্রথম রাজ্যের বাজেট ছিলো ৪৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ২৩-২৪ সালে রাজ্যের লোক সংখ্যা ৪২ লক্ষ ০৩ হাজার। বাজেট হয়েছে ২৭,৮০৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা।লোকসংখ্যা বেড়েছে ১৭০% আর বাজেট বেড়েছে ৬৩,৬৬৬%।২০১৭-১৮ সালে ত্রিপুরার মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক গড় আয় ছিলো ১ লক্ষ ৪৪৪ টাকা। বর্তমানে রাজ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭৭হাজার ৭২৩ টাকা। ১৭-১৮-তে GSDP ছিলো ৪৩,৭১৬ কোটি টাকা। বর্তমানে ২৩-২৪-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১,২২৪ কোটি টাকা। আমাদের লক্ষ্য ২৫-২৬-এ এটাকে ১ লক্ষ কোটি টাকাতে পৌঁছানো।
গত ৭ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্যে ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার (গ্রামে) এবং ৮৬ হাজার (শহরে) পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে।মোট ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার। এরজন্য খরচ হয়েছে ৩০৯৬ কোটি ৩৭লক্ষ টাকা। আগের সরকারের সময়ে রাজ্যের মানুষ মাত্র ৮২ হাজার ঘর পেয়েছিল।রাজ্যের গ্রামে রয়েছে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৮টি পরিবার, আর শহরে রয়েছে ২,৪৪,৭৪৯ পরিবার।(মোট ৯,৯৫,২৮৭পরিবার)।রাজ্যে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পে ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ মাথাপিছু ৫ কেজি করে প্রতি মাসে ফ্রি চাল পাচ্ছে।এছাড়া ১,১১,৩০৫টি পরিবার ৩৫ কেজি করে প্রতি মাসে ফ্রি চাল পাচ্ছে। রাজ্যে আগে গ্রামে মাত্র ৩% বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলের সংযোেগ ছিলো। বর্তমানে গ্রামে তা বেড়ে ৮৪.২৭% বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে গেছে। (মোট ৬ লক্ষ ৩২ হাজার বাড়িতে জলের লাইন গেছে। এরজন্য খরচ হয়েছে ৩৯৬ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। জাতীয় গড় ৭২ শতাংশ।
গত ৭ বছরে রাজ্যে আয়ুষ্মান এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় মোট রাজ্যে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার লোককে যুক্ত করা হয়েছে।রাজ্যে ১০০% মানুষ যাতে ৫ লক্ষ টাকা করে বছরে ফ্রি চিকিৎসা পায়, রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য। এখন পর্যন্ত ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। দেশে ৩০ হাজার হাসপাতালে এবং রাজ্যে ১৩৬টি হাসপাতালে এই সুবিধা রয়েছে।
আগের সরকারের সময় রাজ্যে মাত্র ৯৯ কিলোমিটার ২ লেনের জাতীয় সড়ক ছিলো, এরজন্য খরচ হয়েছিল ১,১২৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। আর আমাদের সরকার ২ লেন-এর জাতীয় সড়ক ৩৩৪.৪০ কিলোমিটার এবং আরও ৭৪.৮৫ কিলোমিটার, মোট ৪০৯.২৫ কিলোমিটার ২ লেনের জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৪৬৭৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। আরও ৭৪.০৭ কিলোমিটার ২ লেনের এবং ৪৪.৫১ কিলোমিটার ৪ লেন-এর কাজ চলছে। এর জন্য খরচ হবে ৩৪৪৩ কোটি ৮৮ লক্ষ। এছাড়া আরও ৪ লেনের ২০৫.৫০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক করার ডিপিআর তৈরি হয়েছে। এর জন্য খরচ হবে ১৬,২৩৫ কোটি টাকা। এমজিএন রেগার প্রকল্পে গত ৭ বছরে রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ৬ লক্ষ ৫ হাজার ৩৮৫টি সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। এমজিএন রেগা কাজে ত্রিপুরা * বর্তমানে সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে ৫৭হাজার ৬৫০টি সেল্ফ হেল্প গ্রুপ রয়েছে এবং সদস্য সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭১ হাজার। এর আগে ছিলো মাত্র ৪১৬০টি গ্রুপ এবং সদস্য সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩৯ হাজার ৯৪১ জন। রাজ্যে গত ৭ বছরে সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ৯১,৮৭১ জন দিদি লাখপতি হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নে গত ৭ বছরে মঞ্জুরি হয়েছে ৪,২৯১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। আর সিপিএমের আমলে মাত্র ২৪৬ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। রাজ্যের গত ৭ বছরে মুদ্রা যোজনায় ঋণ দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৪০৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। উপকৃত হয়েছে ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষ। আগের সরকারের সময় ৩২ বছরে শিল্প ইউনিট স্থাপন হয়েছে মাত্র ৫,৪৯৩টি। আর ৭ বছরে আমরা করেছি ৭৭,৯০৮টি। গত ৭ বছরে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পে রাজ্যে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার মহিলাদের এলপিজি সিলিন্ডার সহ ফ্রি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়েছে। গত ৭ বছরে রাজ্যে ২ লক্ষ ২ হাজার ৪৪০টি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। আমরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ত্রিপুরাতে IIIT স্থাপন করেছি। Law Uni-versity, National Forensic Sciences University, তিনটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এবং একটা প্রাইভেট ওপেন ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েদের কোনও ধরনের ফিস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং নতুন শিক্ষানীতি চালু করেছি।
প্রি-প্রাইমারি স্কুল ছিলো ৯টি, আমরা ১৮০টি স্থাপন করেছি।১২৫টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুল, ৪৭৮টি স্কুলে Vocational Course, আমরা রাজ্যে Super-30 Course চালু করেছি। রাজ্যে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছিলো ১১১টি, আমরা করেছি ৪২২টি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে AGMC এবং GBP হাসপাতালে ৯টা সুপার স্পেশালিটি বিভাগ খোলা হয়েছে। Cardiology/CTBS/Nephrol-ogy/Urology/Plastic Surgery/Neuro Surgery/GI Surgery/ Neurol-ogy/Gastroenterology. GBP হাসপাতালে ইনডোর পেশেন্টের জন্য শয্যা ৭২৭টি বামেদের সময়ে, আর এই ৭ বছর এটা দাঁড়িয়েছে ১৪১৩। একটি গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। ১৫০ আসনের শান্তিনিকেতন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। আরকে নগরে মাল্টি স্পেশালিটি অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য Shija Hospital and Research Institute -কে জমি lease-এ দেওয়া হয়েছে। গত ৭ বছরে রাজ্যে ১১১৮টি Health & Wellness Centre গড়ে তোলা হয়েছে। ১৬টি নতুন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পিএম কিষান প্রকল্পে রাজ্যে ১৯ কিস্তিতে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭০ জন কৃষককে ৮৮২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে গত ৭ বছরে ১ লক্ষ ১৭ হাজার কৃষক থেকে সহায়ক মূল্যে ২ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। তাদের হাতে অর্থ পৌঁছেছে ৪৪৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। গত ৭ বছরে রাজ্যে কৃষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৮২ হাজার কৃষকদের কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে। টাকার পরিমাণ ২১৪২ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ সালে রাজ্যে কৃষকদের মাসিক আয় ছিলো ৬ হাজার ৫৮০ টাকা। ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯৬ টাকা। আর বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৫৯০ টাকা। গত ৭ বছরে রাজ্যে কৃষকদের ২০০ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। ধান উৎপাদনে দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। প্রতি হেক্টরে ৩২৯৯ কেজি। জাতীয় গড় ৩২৬২ কেজি।
এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। আগে ১ কানি জমিতে ৩০০০ কেজি আলু হতো। এখন হচ্ছে ৬০০০ থেকে ৭০০০ কেজি। ১ লক্ষ ৯১ হাজার কৃষককে Soil Health Card দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২ বছরে ২৭ হাজার ২১৪ জন কৃষককে Soil Health Card দেওয়া হয়েছে। ১৩ লক্ষ ৯৭ হাজার কৃষককে ফসল বিমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে। আগে কৃষকরা প্রতি কানিতে প্রিমিয়াম দিতো ২২০ টাকা, এখন দেয় মাত্র ১০ টাকা, বাকি ২১০ টাকা রাজ্য সরকার দেয়। গত ৭ বছরে নতুন ১৩২ কেভি সাব-স্টেশন ৬টি, নতুন ৩৩ কেভি সাব-স্টেশন ৩১টি, আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল ৩৫৬ কিলোমিটার, কভার্ড কন্ডাক্টর ১,১৩৩ কিলোমিটার, এবি ক্যাবল (চুরি বন্ধ করার জন্য) ১১,২৫৫ কিলোমিটার, স্মার্ট মিটার ১৮,৪২৭টি, প্রি পেইড মিটার ১,৬১,৭২৮টি, সৌভাগ্য যোজনায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ১.৩৬,২৩২ পরিবারে, এইচটিলাইন ৪,২২৪ কিলোমিটার, এলটি লাইন ১১,২৪৭ কিলোমিটার করা হয়েছে। আমরা রাজ্যে ৪,০৮,০০০ মানুষকে ২,০০০ টাকা করে সামাজিক ভাতা দিচ্ছি এবং এরজন্য বছরে খরচ হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত ব্লকে জীবিকা, শিক্ষা ও পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২১টি Ekalabya Model Residential School মঞ্জুর করা হয়েছে। পর্যটন বিকাশে গত ৭ বছরে ৫১ পীঠের এক পীঠ (ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির), নীরমহল, ডম্বুর ও ছবিমুড়াকে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। রাজ্যে ৪১টি আধুনিক লগ হাট চালু হয়েছে এবং আরও ১০টি শীঘ্রই চালু হবে। আগরতলা, সিপাহীজলা, মেলাঘর, উদয়পুর, অমরপুর, মন্দির ঘাট, তীর্থমুখ, নারকেলকুঞ্জ, ডম্বুর, আমবাসা, নীরমহল, বড়মুড়া, ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের লাইট অ্যাণ্ড সাউন্ড শো চালু করা হয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য হোম স্টে চালু করা হয়েছে। উদয়পুরের বনদুয়ারে ৫১ শক্তি পীঠের অবিকল প্রতিরূপ (Replica) স্থাপনের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। এরজন্য ৯৭ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে এবং ৬৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। শিল্প প্রসারে গত সাত বছরে আমতলী বাইপাসের সন্নিকটে ত্রিপুরা Unity Mall প্রকল্পটি স্থাপনের জন্য ১১৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ত্রিপুরা চায়ের জন্য ই-নিলাম কেন্দ্রের শিলান্যাস করা হয়েছে। বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে SEZ স্থাপন করা হয়েছে। এমন প্রতিটি ক্ষেত্রে গত সাত বছরে রাজ্যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। একই সাথে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।