বছর বাঁচাও-এ পাসের হার মাধ্যমিকে ৬১% উচ্চমাধ্যমিকে ৮৬%।
অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বছর বাঁচাও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার বিকালে স্থানীয় গোর্খাবস্তিস্থিত পর্ষদের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আহত সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় এই ফলাফল। চলতি ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে পর্ষদের তরফে ঘোষিত ফলাফল অনুসারে বছর বাঁচাও পরীক্ষার পাসের হার ৬১ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে এই হার ৮২ শতাংশ। ২০২৩ সালের পরীক্ষায় এক অথবা দুইটি বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের বছর বাঁচাও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়। মাধ্যমিকে ৪২৫৮ জন বছর বাঁচাও পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় বসেছে ৩৭৯৭ জন। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৪০৩ জন যোগ্য পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় বসেছে ৪১৮৬ জন।
তাদের মধ্যে মাধ্যমিকে বছর বাঁচাও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৪৩ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৪৫৩ জন। উচ্চমাধ্যমিকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৪৩৪ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৭৫২ জন। শনিবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন পর্ষদের সভাপতি ড. ধনঞ্জয় গণচৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদের সচিব ড. দুলাল দে সহ অন্যরা অংশ নেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদের সভাপতি ড. গণচৌধুরী জানান, যেসব পরীক্ষার্থী চলতি ২০২৩ সালের বছর বাঁচাও পরীক্ষায় সফল হতে পারেনি তারা সামনের বছর ২০২৪ সালে পর্ষদের কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিতে পারবে। বছর বাঁচাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের নয়া মার্কশিট এবং শংসাপত্র প্রদান করা হবে পর্ষদের তরফে। সোমবার চার সেপ্টেম্বর সকাল এগারোটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত নয়া মার্কশিট ও শংসাপত্র বিলি করা হবে পর্ষদের কার্যালয়ে। এর জন্য উল্লেখিতদের পুরনো মার্কশিট ও শংসাপত্র জমা দিতে হবে পর্ষদে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা অথবা তাদের অনুমোদিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পর্ষদে এসে এসব পুরনো মার্কশিট এবং শংসাপত্র জমা দিয়ে নয়া মার্কশিট এবং শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই সময়সীমা প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে বছর বাঁচাও পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে চলতি শিক্ষাবর্ষেই। এই লক্ষ্য নিয়েই গ্রহণ করা হয়েছে বছর বাঁচাও পরীক্ষা।