বনরক্ষায় চারশ টিএসআর আধুনিক হাতিয়ার চাইলেন মন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বনজ
সম্পদ রক্ষায় চারশ টিএসআর জওয়ান,আধুনিক হাতিয়ার, ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল টাক্স ফোর্স গঠনের প্রস্তাব করলেন বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তিপ্রা মথা বিধায়ক রঞ্জিৎ দেববর্মার উত্থাপিত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বনমন্ত্রী শ্রী দেববর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই প্রস্তাবগুলি উত্থাপন করেন। রঞ্জিৎবাবুর প্রশ্নটি ছিল, নদী ও ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে।এই প্রসঙ্গে মথার বিধায়ক পাঠান লাল জমাতিয়া বনজ সম্পদ পাচার নিয়ে অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।জবাব দিতে গিয়ে বনমন্ত্রী শ্রী দেববর্মা বর্তমানে বন দপ্তরের যে অবস্থা তা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বন দপ্তরে কর্মীর অভাব মারাত্মক। যারা বর্তমানে আছে, তারা বয়সের ভারে এখন আর সেইভাবে চলতে পারেন না। মন্ত্রী বলেন, বন্দুকেরও একটা সম্মান আছে। বর্তমানে বনকর্মীদের হাতে যে বন্দুক (হাতিয়ার) আছে যেগুলি মান্ধাতা আমলের। সেগুলোকে সম্মান দেয় না কেউই। পরিস্থিতি এমন যে, কোনও অবৈধ পাচার বা কাজকর্মের খবর পেলে অভিযানের আগেই সংশ্লিষ্টদের কাছে খবর চলে যায়। ফলে চেষ্টা থাকলেও কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাজ্যের বনজ সম্পদ রক্ষায় এবং অবৈধ কাজকর্ম প্রতিরোধ করতে চারশ টিএসআর জওয়ান দেওয়ার কথা বলেন।সেই সাথে ৫০টি এ কে ৪৭ রাইফেল দেওয়ারও প্রস্তাব রাখেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি ডিএফওতে কম করে ৫০ জন টিএসআর জওয়ান রাখার। মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে গোপন খবর সংগ্রহের জন্য বন দপ্তরের একটি ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চ থাকা খুবই জরুরি। সেই সাথে একটি টাক্সফোর্স গঠন করাও জরুরি। এই কাজগুলি করতে পারলে বনজ সম্পদ রক্ষা করা অনেকটা সহজ হবে বলে দাবি করেন বনমন্ত্রী। সেই সাথে অফিসারদের এক জায়গায় বেশিদিন না রাখার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন।পরে বনমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।