বর্ডার হাট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা ইস্যুতে সরব বিপ্লব।
অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপুরায় বর্ডার হাটের কাজের অগ্রগতি এবং কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে পড়া বর্ডারগুলি পুনরায় এবং দ্রুত চালু করার বিষয়ে ফের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এর আগেও রাজ্যসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন শ্রী দেব। দাবি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্ডার হাট সীমান্ত এলাকার জনগণের আর্থিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সীমান্ত হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। এই বিষয়ে সাংসদ শ্রী দেব প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। শুক্রবার সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জবাব দিয়ে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আন্তরিকভাবেই এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সরকারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে প্রতিনিয়ত কাজ করছে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোর মধ্যে মেঘালয়ের ছয়টি বর্ডার হাটের মধ্যে পাঁচটি ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। আরেকটি বর্ডার হাট (শিববাড়ি) পূর্বের জায়গা পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাব্রুমের শ্রীনগর বর্ডার হাট পুনরায় গত ৯ মে ২০২৩ইং চালু করা হয়েছে। কমলাসাগর বর্ডার হাটটি চালু করার জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনা জারি রয়েছে। কমলপুরে প্রস্তাবিত বর্ডার হাটের শিলান্যাস করা হয়েছে গত ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে। এখনও নির্মাণ কাজ চলছে। ধর্মনগরে রাঘনা সীমান্তে প্রস্তাবিত বর্ডার হাটের শিলান্যাস করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এছাড়াও ত্রিপুরার আরও দুটি স্থানে বর্ডার হাট খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে।এরমধ্যে একদফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।ওই দুইটি স্থান হলো, বিলোনীয়া মহকুমার ঘোষখামার অথবা রাধানগর, আরেকটি খোয়াই মহকুমার বেলছড়া। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে স্থানগুলি হলো, কুমিল্লা জেলার জগত্রামপুর অথবা বৈদ্যের খিল। আরেকটি হবিগঞ্জ জেলার নুলুয়া চা বাগান এলাকা।শুধু বর্ডার হাট নিয়েই নয়,গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও সাংসদ শ্রীদেব রাজ্যসভায় সরব হয়েছেন।ওই দুটি ইস্যু হলো রাজ্যের জনজাতিদের বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ নিয়ে ভারত সরকারকে একটি নীতি গ্রহণের দাবি জানান শ্রী দেব। তার অভিমত প্রযুক্তির এই পরিবর্তনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রচুর কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ নিয়ে জোর চর্চা চলছে।