বর্ষণের সতর্কতা জারি হতেই ত্রাহি ত্রাহি রব!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই বর্ষণ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।২টি ঘূর্ণাবর্ত, অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা, নিম্নচাপ অক্ষরেখার এ্যহস্পর্শের ঠেলায় রাজ্যজুড়ে আরও বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে দক্ষিণ, গোমতী জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাষ রয়েছে।এছাড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে ধলাই, উত্তর ত্রিপুরার জন্য। সতর্কতা রয়েছে সিপাহিজলা জেলার জন্যও।আবহাওয়া দপ্তর শনিবার সন্ধ্যায় তাদের সর্বশেষ সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছে।এই মুহূর্তে একটি ঘূণাবর্ত অবস্থান করে রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে একটি নিম্নচাপ বলয়ও সৃষ্টি হতে পারে আগামী ৪৮ ঘন্টায়।এছাড়া মৌসুমী – অক্ষরেক্ষা বিস্তৃত রয়েছে জয়সলমির (রাজস্থান) থেকে একেবারে উত্তর মধ্য ভারত থেকে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এরও প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যে। এছাড়া অপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করে রয়েছে বর্তমানে আসাম সহ সংলগ্ন অঞ্চলে।অন্যদিকে পূর্ব পশ্চিম একটি নিম্নচাপ অক্ষরেক্ষাও বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে একেবারে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
এই সমস্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা, মৌসুমী অক্ষরেখা এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব রাজ্যেও পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।এর
জেরে ২৪ আগষ্টের জন্য দক্ষিণ এবং গোমতীতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতকর্তা জারি করেছে
আবহাওয়া অফিস।ভারী বর্ষণের সতকর্তা রয়েছে ধলাই এবং উত্তর জেলায়।এছাড়া আগামীকাল, রবিবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে।এছাড়া গোমতী এবং ধলাই জেলার জন্য ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতকর্তা রয়েছে। আগামীকাল সিপাহিজলা এবং পশ্চিম জেলার ২/১ জায়গায় ভারী বর্ষণের সতর্কতাও রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী অন্তত ২৭/২৮ তারিখের আগে আবহাওয়া উন্নতির তেমন আশা নেই বললেই চলে।
এদিকে বুধবার আবহাওয়া দপ্তর যে স্থানীয় পূর্বাভাস জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, সাধারণত মেঘলা আকাশই পরিলক্ষিত হবে। হাল্কা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়াও দক্ষিণ, গোমতী এবং ধলাই এর জন্য ভারী বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪২৯.৫ মিমি। যা স্বাভাবিক থেকে ৫১% বেশি। গত চব্বিশ ঘন্টায় অবশ্য রাজ্যের কোনও জেলা থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও খবর নেই। আগষ্ট মাসের শেষদিক চলছে।বর্ষা আরও একমাস চলবে। তাই কাগজেপত্রে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে বর্ষণে মরশুম থাকে।সেই
নিরিখে দেখতে গেলে এবার বৃষ্টিপাতের হিসাব কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা দুস্কর।