অনলাইন প্রতিনিধি :-আসন্ন বর্ষাকাল ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সকল আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। বর্ষার উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সম্ভাব্য প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা’র সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আচোলনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ষায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্ব দিতে হবে।প্রয়োজনে বহিঃরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।আগরতলা শহরে বৃষ্টির জল জমে থাকার সমস্যা বর্তমানে অনেকটাই কম।সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শহর ও নগর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে স্যাটেলাইট হাসপাতাল এবং পিঙ্ক টয়লেট গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সভায় মুখ্যমন্ত্রী শহর এলাকায় মশার উপদ্রব আরও কমানোর জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সচিবালয়ে ২ নং সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়,পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র, আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার ড. শৈলেশ কুমার যাদব সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং জানান, ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি জুন মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থেকে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে জুলাই এবং আগষ্ট মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।তিনি জানান, বর্ষা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরোন্নয়ন দপ্তর সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সমস্ত নগর শাসিত সংস্থার বন্যা প্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বৃষ্টির জমা জল নিষ্কাশনের জন্য জল নিকাশি পাম্পসেটেরে ব্যবস্থা রয়েছে। জরুরি ক্ষেত্রে ক্যুইক রেসপন্স ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সমস্ত নগর শাসিত সংস্থাতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান, জলসম্পদ ইত্যাদি দপ্তরের সাথে বৈঠক করা হয়েছে।তাছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। তাছাড়া ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব বন্যা নিয়ন্ত্রণে পূর্ত দপ্তরের (জল সম্পদ) গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সভায় বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন।
সভায় আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব আসন্ন বর্ষায় আগরতলা পুর নিগম এলাকায় সম্ভাব্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।তিনি আগরতলা শহরের চিত্র, বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান, শহরে ড্রেনের চিত্র ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পদ্ধতি, বন্যায় জল নিকাশি পাম্পগুলির পরিস্থিতি সহ শহরের উন্নয়নে গৃহীত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।পুর কমিশনার জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকায় বড় ড্রেনগুলি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া ম্যানুয়ালিও ড্রেনগুলিকে পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় জল নিকাশির জন্য ১৮ টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। তাছাড়াও জল নিকাশি ৬ টি ডিজেল পাম্প রয়েছে।আগরতলায় ইন্টিগ্রেটেডে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও জল নিকাশি পাম্পগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত করা হয়।সমগ্র আগরতলা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে ডিপিআর তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার জানান।সভায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা রজত পন্থ মুখ্যমন্ত্রী নগরোন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…