বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, পেন পিন্টার পুরস্কার পেলেন অরুন্ধতী রায়!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-চোদ্দো বছর আগে সেমিনারে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্যের শাস্তি হিসাবে দিল্লীর উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা দিল্লী পুলিশকে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে কঠোর ইউএপিএ-র অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।ভারত সরকার যাতে তার বিরুদ্ধে এতখানি কঠোর পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে,তার জন্য খোলা চিঠি লিখেছেন কুড়ি জন নোবেলজয়ী।অন্য দিকে, সামগ্রিক এই আবহে ‘বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর’-এর জন্য পেন পিন্টার পুরস্কার পেলেন ভারতীয় লেখক তথা অধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বুকারজয়ী অরুন্ধতী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এই পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি।গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড ও কমনওয়েলথের লেখকদের মধ্যে অসামান্য সাহিত্যিক কাজের পুরস্কার হিসেবে প্রতিবছর পেন পিন্টার পুরস্কারটি দেওয়া হয় দেওয়া হয়।নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।২০০৯ সালে ‘ইংলিশ পেন’ এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।ইংলিশ পেন মূলত একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।এরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করে।ব্রিটিশ লাইব্রেরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগামী ১০ অক্টোবর অরুন্ধতী পেন পিন্টার পুরস্কারটি লন্ডনের মঞ্চে গ্রহণ করবেন।এর আগে মাইকেল রোজেন, ম্যালোরি ব্ল্যাকম্যান, মার্গারেট অ্যাটউড, সালমান রুশদি, টম স্টপার্ড ও ক্যারল অ্যান ডাফি এই পুরস্কার পেয়েছেন। ইংলিশ পেনের চেয়ারম্যান রুথ ব্রোথউইক অবিচারের বিরুদ্ধে লেখা ‘জরুরি’ কথাগুলি বুদ্ধিমত্তা এবং সৌন্দর্যের সঙ্গে বলিষ্ঠ কলমে তুলে ধরার জন্য অরুন্ধতী রায়ের প্রশংসা করেন। ব্রোথউইক বলেন, ‘অরুন্ধতীর লেখায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকলেও তিনি সত্যিকারের একজন আন্তর্জাতিকতাবাদী চিন্তাবিদ এবং তার শক্তিশালী কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না।’ ভারত সরকার ৬২ বছর বয়সি
অরুন্ধতীর (৬২) বিরুদ্ধে চোদ্দো বছর আগে দেওয়া ‘বক্তৃতার রেশ টেনে ইউএপিএ বা সন্ত্রাস দমন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দেওয়ার দশ দিনের মধ্যে লেখক হিসাবে অরুন্ধতীর সাফল্যের মুকুটে নতুন আন্তর্জাতিক এই পালকের সংযোজন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
অরুন্ধতী রায় ভারতের মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ও পুঁজিবাদের আগ্রাসী চরিত্র সম্পর্কে লিখে চলেছেন।পেন পিন্টার জয়ের প্রতিক্রিয়ায় অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘বিশ্ব যে দুর্বোধ্য দিকে মোড় নিচ্ছে, তা নিয়ে লেখার জন্য হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সঙ্গে থাকলে ভালো হতো।কিন্তু তিনি যেহেতু নেই, আমাদের কাউকে তার সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’ ‘গড অব স্মল থিংস’ উপন্যাস-গ্রন্থটি অরুন্ধতীকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়।১৯৯৭ সালে এই বইটির জন্য তিনি বুকার পুরস্কার জেতেন।