প্রথা ভেঙে দোলপূর্ণিমার আগেই ‘বসন্ত বন্দনা’র তোড়জোড় এখন গোটা রাজ্যে। সৌজন্যে অবশ্যই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। এই ভোটগণনাই উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যাণ্ডে, আগাম ‘বসন্ত বন্দনা’ অর্থাৎ রং- এর উৎসব শুরু হতে চলেছে। তিথি অনুযায়ী আগামী ৭ মার্চ দোলপূর্ণিমা। আর নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা সহ অন্য দুই রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হবে। ফলে এই তিন রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল জয়ী হবে, তাদের কর্মী-সমর্থকরা যে আগাম দোল উৎসবে মাতবে, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
ইতিমধ্যে গোটা রাজ্য জুড়ে আগাম বসন্ত বন্দনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। রাজধানী সহ রাজ্যের সবগুলি বাজারে বসন্তের উপাদান ‘রং’ ব্যবসায়ীদের তৎপরতাও অনেকটা বেড়ে গেছে। বাজারে বাজারে বাহারি রং- এর পসরা সাজিয়ে বসে গেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্যস্তরের সংবাদমাধ্যম এবং জনমত সমীক্ষক সংস্থাগুলি ‘এগ্জিট পোল’ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রায় সবগুলি জনমত সমীক্ষায় যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে ত্রিপুরা ও নাগাল্যাণ্ডে পুনরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী মেঘালয়ে এককভাবে কোনও দলেরই সরকার হচ্ছে না।
অর্থাৎ মেঘালয়ে হচ্ছে ত্রিশঙ্কু। ইভিএম-বন্দি জনমতের এমন পূর্বাভাস প্রকাশিত হতেই একপক্ষ খুশি হয়ে আগাম বসন্ত বন্দনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। অপর পক্ষ স্বাভাবিকভাবেই অখুশি। তারা কোনও অবস্থাতেই এই এগজিট পোল- কে মানতে নারাজ। তাদের মতে, এই ধরনের পূর্বাভাসের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এইসব অর্থের বিনিময়ে করা হয়ে থাকে। সবই ভুয়ো, যার সাথে বাস্তবের কোনও মিল নেই, বাস্তবের সাথে বিস্তর ফারাক থাকে।মজার বিষয় হচ্ছে, এগজিট পোলের এই পূর্বাভাস যদি ঠিক উল্টোটা হতো –তাহলে আজ যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের মুখেই শোনা যেত অন্য সুর। তাদেরও একই রকম প্রস্তুতি চলতো।
গণতন্ত্রের এটাই সবথেকে বড় মহিমা। ‘এগ্জিট পোল’ সঠিক এমন দাবি কেউই করে না। আবার সমীক্ষার আভাস ভুল, এমন দাবিও করা যায় না। ফলে এই নিয়ে বিতর্ক আগেও ছিলো, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। একপক্ষ খুশি হবে, অন্য পক্ষ অখুশি হবে।
এগ্জিট পোল একটি অনুমান, একটি ইঙ্গিত। সহজভাবে বললে এটি একটি পূর্বাভাস। অর্থাৎ এমন হতে পারে। হবেই এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন ইঙ্গিত বা পূর্বাভাস মিলতে দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে প্রকৃত ফলাফল পাওয়া যাবে ভোটগণনার পরই। এখন আসল কথা হচ্ছে, এগজিট পোলের ইঙ্গিতকে সঠিক ধরে নিয়ে যারা আগাম বসন্ত বন্দনা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও যেন ভুলে না যান – এটা পূর্বাভাস। তাই প্রার্থনা থাকবে, ২ মার্চ গণনা শেষে যারাই জয়ী হবে, তারা যেন পরাজিতদের সাথে নিয়েই আগাম বসন্ত বন্দনায় মেতে উঠে। এটাই হবে গণতন্ত্রের মহান উৎসব। সার্থক হবে বসন্ত বন্দনাও। এই বসন্তেই শপথ নিক ত্রিপুরা – আর নয় রাজনৈতিক হিংসা। সকল রঙেই রঙিন হোক বসন্তের আকাশ।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…