বাঁশের তৈরি খাড়া এবং পাখা আজও পাহাড় অর্থনীতির ভিত!!

 বাঁশের তৈরি খাড়া এবং পাখা আজও পাহাড় অর্থনীতির ভিত!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || আধুনিক সমাজব্যবস্থাতেও গতানুগতিক ধারার বাইরে হাতের তৈরি খাড়া এবং পাখার বিশেষ কদর রয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই এখনও এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে হাতের তৈরি সামগ্রী যেমন পাখা এবং খাড়া তৈরি করে মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন। আজও ত্রিপুরার জনজাতিদের একটা অংশ রয়েছে যারা এই সামগ্রীগুলো তৈরি করে নিজেদের দিনানিপাত করেন। তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের রঙ্গীয়া টিলা এলাকার বছর সত্তরের মন্টু দেববর্মা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি দশকের পর দশক ধরে খাড়া এবং পাখা তৈরি করে পরিবার প্রতিপালন করছেন। এক সময় জঙ্গল থেকে প্রাপ্ত বাঁশ, বেত ব্যবহার করে এই সমস্ত সামগ্রী তৈরি করতেন।


বর্তমানে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার ফলে দিকে দিকে বৃক্ষ নিধন ও জঙ্গল ধ্বংস চলছে। ফলে বাঁশ, বেত আগের মতো সহজলভ্য নয়। এখন উচ্চ দামে ক্রয় করতে হয় বাঁশ বেত, জানান মন্টু দেববর্মা। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন প্রতিকূলতা আসলেও, ঐতিহ্যগত খারা বা হাতের তৈরি পাখা তৈরির কাজ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেননি। চাহিদা কিরকম রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে মন্টু বাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, চাহিদা রয়েছে চাহিদার কোন ঘাটতি নেই। তবে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যেটা বলার চেষ্টা করেছেন সেটা হল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে শুধুমাত্র এরকম ছোট হস্তশিল্পের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বছর ৭০ ঊর্ধ্ব এই প্রবীণ ব্যক্তি জানান, একসময় শুধুমাত্র এই খাড়া এবং পাখা ইত্যাদি সামগ্রীগুলো তৈরি এবং বিক্রি করে চার চারটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া সহ দীর্ঘ জীবন কাটালেও, ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন অনেকটাই শঙ্কিত। না, এডিসি প্রশাসন কিংবা রাজ্য প্রশাসন কেউই এইসব বিলুপ্তপ্রায় হস্তশিল্প গুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। এমনটাই দাবি মন্টু দেববর্মার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে
আগামী দিনে খাড়া থেকে হাতের তৈরি পাখার চিরাচরিত কাজ যেন চলতে পারে স্বাভাবিক ভাবে, সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হউক প্রশাসন এমনটাই চাইছেন হস্তশিল্পের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা ৭০ উর্ধ প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মন্টু দেববর্মারা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.