বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
বাংলাদেশের রেল এলো ত্রিপুরায়!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে হাতে নেওয়া হয়েছিল আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প।২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এবং অতি শীঘ্রই দুই দেশের রেল বিভাগের সবুজ সঙ্কেত পেলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।উল্লেখ্য, সোমবার প্রথমবারের মতো ৬ জন স্টাফ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ অংশে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হয়।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষই চিকিৎসা-পর্যটন-বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকৃত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হবে, এ নিয়েও কোনো সংশয় নেই।এই প্রকল্পের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পে সর্বমোট ৮৬২.৫ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই ব্যায় কাজের সঙ্গে আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, খুব শীঘ্রই এই রেলপথ উদ্বোধন হবে। তবে প্রথম পর্যায়ে এই রেলপথে শুধুমাত্র পন্যবাহী ট্রেন চলবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে যাত্রী ট্রেন চলাচল করবে। মএছাড়াও আরও বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে তিনি জানান, গঙ্গাসাগর থেকে নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৬.৮১ কিমি। এই প্রকল্পের সর্বমোট অংশ ১২.২৪ কিমি। যার মধ্যে ৫.৪৬ কিমি অংশ রয়েছে ভারতে ও বাকি ৬.৭৮ কিমি অংশ বাংলাদেশের।
গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন আসতে এই ট্রেনের সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। তবে দ্রুত গতিতে ট্রেন ছুঁটলে ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছানো যাবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন পরিচালক আবদূর রহিম।