বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী,কেন্দ্রের নজরে নেওয়া হবে ভিসা সরলীকরণ।
অনলাইন প্রতিনিধি :- বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সাথে দেখা করে ত্রিপুরার সাথে প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ভিসা প্রক্রিয়া সরলীকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন।তারা বলেছেন, এমনটা হলে উভয় প্রান্তে যোগাযোগ অনেকটাই বাড়বে। তাতে লাভবান হবে উভয় দেশ। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মেলে ধরবেন বলে প্রতিবেশী দেশের সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইউনিটি মলে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করতে পারে। হাপানিয়া এলাকায় এই ইউনিটি মল নির্মাণ হতে চলেছে। তাতে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আকর্ষণীয় দ্রব্য সামগ্রীর পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশের সামগ্রীও স্থান পেতে পারে।এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথা প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিদের সামনে মেলে ধরেন। তিনি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্রও তাদের সামনে মেলে ধরেছেন তিনি হিরা মডেলের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন এবং ত্রিপুরাকে এটি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নেশা সামগ্রী এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথাও মেলে ধরেন।তিনি জানান, নেশার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপচারিতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল দক্ষিণ ত্রিপুরার চোত্তাখোলায় ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান পরিদর্শন করেছেন। তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগরতলা ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ নেই। তবে প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী সরকারী বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে মিলিত হন বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহ ১৭ সদস্যক প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য।
এ দিন রাজনগরের চোত্তাখলার মৈত্রী পার্ক সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন অতিথি সাংবাদিকরা। মৈত্রী পার্কে গিয়ে ৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি সৌধ ঘুরে অভিভূত হয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা। রাতে আগরতলা প্রেস ক্লাবে হয় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপ্তি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায়, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতি বাণিজ্য বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায়, ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সকলের আলোচনাতেই বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার আত্মার বন্ধনের কথা উঠে এসেছে। এরপর শুরু হয় শুভেচ্ছা স্মারক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আগরতলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা-র সম্পাদক শ্যামল দত্তের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে। জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা-র পক্ষ থেকে আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্যের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা-র সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা থেকে আগত অতিথিদের হাতে একে একে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। আগরতলা প্রেস ক্লাব বনাম জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা ক্রিকেট ম্যাচের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন অনির্বাণ দেব, বেস্ট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান, বেস্ট বোলার শিশান চক্রবর্তী, বেস্ট ফিল্ডার মণিরুজ্জামান উজ্জ্বল। রানার্স আপ ট্রফি গ্রহণ করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকার খেলোয়াড়রা। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের খেলোয়াড়রা। পুরস্কারগুলো তুলে দিয়েছেন মঞ্চে থাকা অতিথিরা।