বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের চাকরি খাচ্ছেন ড. ইউনুস!!

 বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের চাকরি খাচ্ছেন ড. ইউনুস!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আমলের নিয়োগ বাতিলে বর্তমান প্রশাসন যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে প্রকারান্তরে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সংখ্যালঘু অংশের মানুষ।সম্প্রতি মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন শেখ হাসিনা আমলের নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশের সাবইনস্পেক্টরদের চাকরিগুলি বাতিল করেছে। দেখা গেছে বাতিলের তালিকায় নিয়োগপ্রাপ্ত সংখ্যালঘুদের সাড়ে নিরানব্বই শতাংশকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশে পুলিশের সাবইনস্পেক্টর পদে চাকরি প্রাপ্ত ৮৫০ জন যারা প্রশিক্ষণের শেষ পর্যায়ে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ২৫২ জনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৯৩ জনই রয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সমাজের
লোক।নিয়োগের সময়ে মোট নিযুক্তি প্রাপ্তদের মধ্যে ১১.৬৫ শতাংশ ছিল সংখ্যালঘু অংশের।আর চাকরি বাতিলের সময়ে ৯৩.৯৪ শতাংশই সংখ্যালঘু সমাজের।অর্থাৎ যে ৯৯ জন সংখ্যালঘুকে চাকরিতে নেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্য থেকে ৯৩ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
যারা ভবিষ্যতে চাকরি করবেন তাদের মধ্যে মাত্র ছয় জন রয়েছেন সংখ্যালঘু অংশের।এই ঘটনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ফের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।বৈষম্য এমন পর্যায়ে চলে আসার কারণ খুঁজছেন তারা।প্রসঙ্গত,পাঁচ আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষায়তন থেকে শুরু করে দপ্তরগুলিতে পদাধিকারীদের সরানো হচ্ছে জোরজবরদস্তি।ধরে নেওয়া হচ্ছে তারা যেহেতু আওয়ামী তাই তারা আওয়ামী লীগের জমানায় দায়িত্ব নিয়েছেন তাই তারা আওয়ামী লীগেরই লোকজন।
এই পদাধিকারীদের মধ্যে কেউ যদি সংখ্যালঘু শ্রেণীভুক্ত থেকে থাকেন, তাদের পদত্যাগ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ছে।তাদের জোরজবরদস্তি পদত্যাগ করানো হচ্ছে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে,অস্ত্রের মুখে। সর্বশেষ এই দৃশ্য দেখা গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাসকে জোর করে – পদত্যাগ করানো হয়। তাকে দিয়ে লেখানো হয়েছে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।এই কাজটি করে চলেছে ইসলামি ছাত্র শিবিরের ছেলেরা।জানা গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য সংখ্যালঘু অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপকদের উপরেও চাপ তৈরির পরিকল্পনা চলছে।ঘটনাগুলি নীরবে,প্রকাশ্যে দুইভাবেই ঘটে চলেছে।এতে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিকার চাওয়ার কোনও পথ পাচ্ছেন না তারা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.