বাংলাদেশ জুড়ে হরতালে আতঙ্ক, বাস-ট্রেনে আগুন!!

 বাংলাদেশ জুড়ে হরতালে আতঙ্ক, বাস-ট্রেনে আগুন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে।রবিবার সকাল থেকে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে।

আর হরতাল ডাকার পরপরই শুরু হয়েছে নির্বিচারে আগুন দিয়ে ট্রেন-যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া। হরতাল ডাকার পর পনেরো ঘন্টায় সারাদেশে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এগারোটি যানবাহন। এভাবে হরতাল ডাকা এবং আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করার কারণে সারা দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কের কারণে অনেকে বাড়িঘর থেকে পথে বেরোচ্ছেন কম।অনেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পথে নামছেন না।জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রবিবার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করেছে।বিএনপির এ হরতালে জামায়েতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, বারো দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণ অধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি ও এলডিপি সমর্থন দিয়েছে।এর আগে ২৯ নভেম্বর ঢাকায় মহা সমাবেশ পণ্ডের পর একদিন হরতাল ও পাঁচ দফায় এগারো দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো।রবিবার ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়েতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। এছাড়া সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলা শহরে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছে।হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশ সহ দশজন আহত হয়েছেন। সিলেটে মশাল মিছিলের পর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ ফাঁকা গুলী ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।হরতাল সময়ে ঢাকার উত্তরে জেলা টাঙ্গাইলের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে হরতালকারীরা আগুন দিয়েছে।আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে গেছে। রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘন্টায় সব মিলিয়ে এগারোটি যানবাহনে আগুন দিয়েছে হরতালকারীরা।এর মধ্যে পাঁচটি আগুনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়।বাকিগুলো ঘটেছে নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, ফেনী, কুমিল্লা ও জামালপুরে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহনগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি ট্রাক, একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশা ও একটি পিকআপ ভ্যান।ঢাকায় কাফরুল এলাকায় বিহঙ্গ বাসে, গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে বাসে, জয়পুর হাটে পিকআপে, কুমিল্লায় পাপিয়া পরিবহনের বাসে,ঢাকার ধানমণ্ডিতে মৌমিতা পরিবহনের বাসে, মিরপুরে বাসে, বগুড়ায় ট্রাকে, ফেনীতে কাভার্ড ভ্যানে, নাটোরে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া ঢাকার বঙ্গবাজারে হরতালকারীদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে সিএনজি চালিত অটো রিকশায় আগুন লাগে। রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ উপজেলা সড়কে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা।এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং কয়েকজন আহত হন। রবিবার ভোর ছয়টা থেকে হরতাল পালনে মাঠে নামে বিএনপি এবং তাদের শরিক দল জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ সহ সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হরতালের সময়ে বিএনপি ও জামায়েত সহ সমমনা দলগুলোর পিকেটিং না দেখা গেলেও দেশের বিভিন্ন জেলা পিকেটারদের তৎপরতা দেখা গেছে। অন্যদিকে হরতাল কর্মসূচির মধ্যে সব ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে তৎপর ছিলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ র‍্যাব এবং আনসার সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলো শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.