বাজারে আচমকাই চালের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতার নাভিশ্বাস!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাজারে আগুন মূল্যের ছ্যাঁকার আমজনতার জেরবার অবস্থা।বাজারে গিয়ে মূল্য যাচাই করে হাত পুড়ছে।গত তিন মাস ধরে বাজারে সবজির মূল্য আকাশ ছোঁয়া। সবজির আগুন মূল্য কমার কোনও লক্ষণই নেই। শুধু সবজিই নয়, বাজারে ভোজ্যতেল, ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যও খুব চড়া, উর্ধ্বমুখী। বাজারে মাছ, মাংসের মূল্যও গরিব, নিম্ন রোজগারে মানুষের অনেক আগেই নাগালের বাইরে চলে গেছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়েছেন মধ্যবিত্তরাও।বাজারে যখন মূল্যবৃদ্ধির এই চরম বেহাল দশা তখন গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো হয়ে ঠেকেছে আচমকাই চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি।গত কয়েকদিনের মধ্যে বাজরে বহিঃরাজ্যে থেকে আমদানিকৃত সিদ্ধচালের মূল্য মহারাজগঞ্জে বাজারে পাইকারিতে প্রতিকিলো দুই টাকা থেকে আড়াই টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরো বাজারে এই চালের প্রতিকিলোতে মূল্য বেড়েছে আরও বেশি। প্রতিকিলোতে চালের খুচরো মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ন্যূনতম চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা। আগরতলার বিভিন্ন খুচরো বাজারে চালের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন।
পাইকারি চালের মূল্য ও খুচরো চালের মূল্যের মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই। আরাম ব্র্যান্ড সহ বহিঃরাজ্যে থেকে যে সব সিদ্ধচাল মহারাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি দোকানে আসে আচমকাই বেড়েছে সেই চালের অস্বাভাবিক মূল্য। তবে বহিঃরাজ্যে থেকে সিদ্ধ বাসমতি চাল আসলেও নতুন মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে সেই চালে তেমন প্রভাব পড়েনি, পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি। বহিঃরাজ্যে আরাম ব্র্যান্ড সিদ্ধচাল সহ বহিঃরাজ্যের অন্যান্য ব্র্যান্ডের চাল নতুন করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা সাধারণেরা পড়েছেন প্রচণ্ড বিপাকে।রাজ্যের উৎপাদিত চালের চরম ঘাটতি থাকায় রাজ্যের মানুষ বহিঃরাজ্যের চালের উপরই নির্ভর। রাজ্য সরকার ও তার কৃষি দপ্তর কৃষিতে বিপ্লব আনবে বলে বছরের পর বছর ঘটা করে প্রচার করে গেলেও বাস্তবে রাজ্যে ধান চাষে মন্দাভাব কাটছে না। তাই অভিযোগ কৃষি দপ্তরের ব্যর্থতায় রাজ্যের চাহিদা মতো ধানচাষ ও চাল উৎপাদন না হওয়ায় বহিঃরাজ্যের আমদানিকৃত চালের উপরই রাজ্য পুরো নির্ভর।তাই রাজ্যের বাজারগুলিতে সারা বছরই চালের মূল্য খুব চড়া থাকে।এখন নতুন করে বাজারে বহিঃরাজ্যের আমদানিকৃত সিদ্ধচাল মহারাজগঞ্জ বাজারে ঢুকার পর চালের মূল্য বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিক।
উৎপাদন অল্প হলেও রাজ্যে তথা স্থানীয় উৎপাদিত যে চাল রয়েছে মূল্য বৃদ্ধিতে সেই চালের মূল্য বেড়েছে। তাই আগরতলা তথা রাজ্যের বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মহারাজগঞ্জ বাজারে চালের পাইকারি ও স্টকিস্ট ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধির পেছনে এই দাবি করলেও প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের কাছে চালের আচমকা মূল্য বৃদ্ধির কোন খবর নেই।
আর সেই সুযোগে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী মর্জিমত চালের মূল্য গত ক’দিন ধরে বৃদ্ধি করে দিয়ে ক্রেতা সাধারণের গলা কাটছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। সদর প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিমও গত ক’দিন ধরে মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযানে যায়নি বলেও অভিযোগ।আর তারই সুযোগ নিচ্ছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী বলেও অভিযোগ উঠেছে।