বাড়ছে পর্যটক, হচ্ছে হোটেল-হোমস্টে সেন্টার!!

 বাড়ছে পর্যটক, হচ্ছে হোটেল-হোমস্টে সেন্টার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আমুল পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের।এক বছরেই পাল্টে গেছে জম্পুই পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের চিত্র। শৈলপাহাড় হিসেবে পরিচিত জম্পুইয়ের হাতছানিতে প্রতিদিন শতাধিক রাজ্য ও বহি:রাজ্যের পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছে।

যে বিশাল সংখ্যক পর্যটক যাচ্ছে তাতে জম্পুই পাহাড়ের

ভাংমুন সরকারী টুরিস্ট লজ ইডেনে পর্যটকদের থাকার স্থান সংকুলান হচ্ছে না।লক্ষণীয় বিষয় হলো, পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি জম্পুই পাহাড়ে গড়ে উঠেছে ছোটখাট হোটেল এবং পেয়িং গেস্ট হাউস।ফলে শৈল পাহাড় জম্পুই পাহাড়কে কেন্দ্র করে পাহাড় অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে সুশান্ত চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর জম্পুই পাহাড়ের পর্যটন শিল্প অনেক এগিয়ে গেছে।দেখা যাচ্ছে ভাংমুনের পাশাপাশি ফুলডুংসাই জুদাই টুরিস্ট লজেও ক্রমশ পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।জানা গেছে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জম্পুইকে কেন্দ্র করে ‘পর্যটন হাব’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সরকারী উদ্যোগেও হোমস্টে সেন্টার চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।বুধবারও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে দপ্তর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী। তাছাড়া কাঞ্চনপুর-জম্পুই ডবল লেন রাস্তা তৈরি হওয়ায় জম্পুই পাহাড়ের যোগাযোগ মাধ্যম উন্নত হয়েছে।

এতে পর্যটকদের জম্পুই পাহাড়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে।এই সড়ক পথ দিয়ে কাঞ্চনপুর থেকে সরাসরি মিজোরামের আইজল শহরে যাওয়া যাবে।এতে ভবিষ্যতে মিজোরাম ত্রিপুরার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।বর্তমানে মিজোরামের মিজো জনসাধারণ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য শিলচরসহ আসামের উপর নির্ভরশীল।শিলচর শহরেই যাতায়াত বেশি মিজোরামের বাসিন্দাদের। কাঞ্চনপুর-মিজোরাম ভায়া জম্পুই ডবল লাইন রাস্তা পুরোপুরি সম্পূর্ণ হলে ভবিষ্যতে মিজোরামের বাসিন্দারা কাঞ্চনপুর ধর্মনগর আগরতলার বাজারগুলিতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

কার্যত এনএইচ৪৪ এ ডবল লেন কাঞ্চনপুর জম্পুই জাতীয় সড়ক নির্মাণের ফলে পাল্টে গেছে শৈলপাহাড় জম্পুই পাহাড়ের সড়ক পথের রূপ সৌন্দর্য।জম্পুইয়ের রাস্তা দিয়ে বর্তমানে গাড়ি নিয়ে চলাচল করলে মনে হয় কোনও উন্নত দেশের পাহাড় পথে আছি।দুই পাশের গাছপালার মধ্য দিয়ে ডবল লেনের চওড়া রাস্তা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।বর্তমানে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক ছোট বড় যানবাহন এই সড়কে যাতায়াত করে। উল্লেখ্য,কয়েক বছর আগেও জম্পুই বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বেহাল রাস্তার জন্য সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতেন।কিন্তু বর্তমানে ডবল লাইন রাস্তার কারণে ক্রমে পাল্টে গেছে জম্পুই। বহিরাজ্যের সাথে সড়ক যোগাযোগের আমূল পরিবর্তনে পর্যটন শিল্পে বিকাশ ঘটছে জম্পুই পাহাড়ে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.