বাড়তি বিলে নাজেহাল ভোক্তারা উদাসীন বিদ্যুৎ নিগম কর্তৃপক্ষ!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা
রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের বিরুদ্ধে বৈধ ভোক্তাদের সঙ্গে ডাকাতি করার মতো অভিযোগ উঠেছে।ভোক্তাদের ব্যবহার করা বিদ্যুতের নিরিখে প্রাপ্য রাজস্বের পরিবর্তে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে ভোক্তাদের পকেট কেটে।খোদ রাজধানী শহর আগরতলার বিভিন্ন এলাকাতেই এমন বহু ঘটনা ঘটছে বলে খবর।জানা গেছে নিগমে সরাসরি কর্মরত কোনও প্রকৌশলী আধিকারিক সহ অন্য কেউ জড়িত নয়।এর সঙ্গে জড়িত নিগমের বিল সংগ্রহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার সংস্থার একাংশ কর্মী।তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে বিপাকে পড়ছে ভোক্তারা। বদনাম হচ্ছে নিগমের। নাজেহাল হয়ে চলছে ভোক্তারা।প্রাপ্ত অভিযোগ অনুসারে ঠিকাদারের হয়ে বিল সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত অনেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না ঠিকঠাকভাবে। তারা দায়সারাভাবে কাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত ভোক্তার বাড়ি অথবা দোকান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না গিয়েই বাড়ি বসে বিল তৈরি করছে।অনেক ক্ষেত্রে বাড়ি, দোকানে গেলেও মিটার দেখার প্রয়োজন বোধ করছে না।নিজেদের মর্জি মতো বিল তৈরি করে চলছে।তাতে অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতি হয় নিগমের।কারণ ভোক্তাদের কাছ থেকে নিগমের প্রাপ্য বিলের চেয়ে রাজস্ব সংগ্রহ হচ্ছে কম।পরে এর ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভোক্তাদের।কেন না তাদের ক্ষেত্র বিশেষে জরিমানা নিগমকে মিটিয়ে দিতে হচ্ছে পুরো অর্থ।আর জরিমানা না দিতে হলেও এক সঙ্গে মোটা অঙ্ক মেটাতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।এর অন্য দিকও আছে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উল্লেখিত কারণে ভোক্তাদের ন্যায্য বিলের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ জমা দিতে হয় নিগমের ঘরে। কারণ দায়সারাভাবে বিল সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করা ঠিকাদারের কর্মীরা মিটারের সঠিক তথ্য যাচাই না করে ভোক্তার ব্যবহার করা বিদ্যুতের তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে বলে দেখিয়ে দেয় বিলে। রাজ্য রাজধানী শহর আগরতলার দক্ষিণাংশের একটি বিলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ভোক্তার মিটারের তথ্য অনুসারে মোট ৭৪৭৬ একক তথা ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে।এই তথ্য চলতি ডিসেম্বর মাসের।অথচ তার নভেম্বর মাসের বিলে ৭৭৯০ একক বিদ্যুৎ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এভাবে গত কয়েক মাস ধরেই বাড়তি বিল আসে ভোক্তাটির।এ নিয়ে নিগমের বিভিন্ন জনের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরে তার সমস্যার সমাধান হওয়ার ফাঁকে মোটা অঙ্কের বাড়তি অর্থ গচ্ছা দিতে হয়েছে তাকে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটবে আরও অনেকের ক্ষেত্রে।প্রতি ক্ষেত্রেই বিনা কারণে অর্থ গচ্ছা দিতে হচ্ছে ভোক্তাদের। আর নিগমের এই দায় মাথা পেতে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সমস্যার নিরসনের জন্য দোয়ারে দোয়ারে ঘুরেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লাভ হচ্ছে না কিছুই। অথচ ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগও মিলছে না। এনিয়ে নিগমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের মতো নিগম কর্তৃপক্ষও উদাসীন বলে অভিযোগ। ফাঁকতালে নিত্য পকেট কাটছে ভোক্তার। নিগমের গ্রাহক পরিষেবার কথা থেকে যাচ্ছে শুধুই কাগজে পত্রে। বঞ্চিত হয়ে চলছে রাজ্যবাসী।

Dainik Digital

Recent Posts

ফ্রি-ফ্রি-ফ্রি!

দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…

6 hours ago

এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…

1 day ago

ফাইফরমাশ খাটছেন টিএসআর জওয়ানরা !!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…

1 day ago

ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…

1 day ago

ইন্দ্রপ্রস্থে ভোট!!

দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…

1 day ago

বহিঃরাজ্যে গেল “ধানি লঙ্কা”ওরফে ধান্না মরিচ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…

2 days ago