অনলাইন প্রতিনিধি :- অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি,বাড়ছে আত্মহত্যা, চুরি, ছিনতাই। কাজের সন্ধানে রাজ্য থেকে বহি:রাজ্যে যেতে হচ্ছে।এই সব প্রতিরোধ করতে রেগা প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ২০০ দিনের কাজ এবং ৬০০ টাকা দৈনিক মজুরি প্রদানের বেসরকারী প্রস্তাব বিধানসভায় উত্থাপন করে বেকায়দায় পড়তে হলো বিরোধী দল সিপিএমকে।এই প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে বিরোধী সিপিএমকে রীতিমতো আয়না দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন সিপিএম পরিষদীয় নেতা বিধায়ক জিতেন চৌধুরী।প্রস্তাবের সপক্ষে তিনি দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। একই সাথে তিনি নানা ঘটনা উল্লেখ করে সরকারের সমালোচনা করেন।জবাব দিতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা একেবারে তথ্য উল্লেখ করে জিতেন বাবুদের একের পর এক পাল্টা তির ছুঁড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে জিতেনবাবুকে ধন্যবাদ দিতে হয়।আশ্চর্য হই,আপনি যেভাবে বক্তব্য রাখলেন বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে, তাতে মনে হয়েছে আপনি এবং আপনারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন। এই ডিপ্রেশনই কিন্তু আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। এই প্রসঙ্গে তিনি ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে পাঠরত এক ছাত্রের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একদিন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রকে দেখেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন।ওই ছাত্রের সাথে তার কথা হয় এবং ঘরে যাওয়ার কথা বলেন।তিনদিন পর শোনেন সেই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্র নিশ্চয়ই রেগার কাজের জন্য আত্মহত্যা করেনি। আত্মহত্যার অনেক কারণ থাকে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের আগে খবরের কাগজ খুললেই খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, সন্তান বিক্রির খবর দেখা যেতো।তিনি বেশ কয়েকটি খবরের কাটিংও তুলে ধরেন। এমনকী জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত খবরের কাটিং তুলে ধরেন।জনজাতি পরিবার বিপিএল কার্ডে জন্য আবেদন করে পায়নি ২০১৭ সালে।তাই তার ৮ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই খবরও প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হলো,সমাজের চোর ডাকাত থাকবে।কিন্তু দেখতে হবে প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এসব কতটা কমাতে পারলাম সেটা হলো কথা।প্রশিক্ষণহীন শ্রমিকদের জন্য রেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।বন আইন অনুযায়ী ১৫০ দিনের কাজ করতে পারে।রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলেই মজুরি এবং কাজের দিন বাড়িয়ে দিতে পারে না। এটা কেন্দ্রীয় আইন। আপনারাতো বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর জিতেন্দ্রবাবু দাঁড়িয়ে বলেন,২০১৮ সালে ভিশন ডকুমেন্টে তো আপনারা বলেছিলেন।বিভ্রান্ত যদি কেউ করে থাকে সেটা আপনারা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, এই রাজ্যে রেগা নিয়ে আপনারা কী করেছেন সেটা সকলের জানা।চার পাঁচ জন শ্রমিক দাঁড়িয়ে থাকতো, আর একজন ক্যাডার থাকতো।এখন মিডলম্যানের সুযোগ নেই।জিতেন্দ্রবাবুকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি ওই মিডলম্যানদের জন্য কুম্ভিরাশ্রু করছেন? মিছিল-মিটিং-এ না এলে রেগার কাজ পাবে না। আপনারা তো এসবই করেছেন।কী স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয়েছে? আমরা স্থায়ী সম্পদ তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দিশাতেই প্রকল্প তৈরি করেছেন। আমরা অমৃত সরোবর,গ্রামীণ রাস্তা সহ আরও অনেক কাজ করছি রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে। আমাদের লক্ষ্য স্থায়ী সম্পদ তৈরি করা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বাড়িতে কাজ করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না। কাজ আছে কিন্তু শ্রমিক নেই। আপনারা তো কেরালা নিয়ে সবসময় গর্ব করেন। কেরালার অবস্থা কী সেটা সকলেই জানে।মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন,অনেক কিছু কেরালা থেকেই উৎপত্তি হয়, পরে সেটা সারা দেশে ছড়ায়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের হীরা মডেল দিয়েছেন।আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে ত্রিপুরা মডেল হবে।শেষে ধ্বনি ভোটে জিতেন্দ্রবাবুর প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…