দুই দিনের প্রবাসে উত্তর জেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা দ্বিতীয়দিনেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রচারে ঝড় তুললেন। প্রথম দিনের বিভিন্ন কর্মসূচির পর শনিবার দ্বিতীয়দিনের কর্মসূচি শুরু করেন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে। এদিন সকালে তিনি ৫৫ বাগবাসা বিধানসভার ১৯নং বুথে দলের সপ্তাহব্যাপী ঘরে ঘরে বিজেপি কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জনসম্পর্ক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন সাথে ছিলেন টিআইডিসির চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় সহ মণ্ডল নেতৃত্বরা।এদিন এই বুথ এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী।কথা বলেন পরিবারের লোকজনদের সাথে।এদিন এই কর্মসূচি শেষে বিজেপি কিষান মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীরেন্দ্র চন্দ্র দাসের বাড়িতে চা চক্রে মিলিত হন মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত সকলে। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের সাথে। তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানে টিঙ্কু রায় সহ জেলার শিক্ষা অধিকর্তা সনৎ নাথ, কলেজের প্রিন্সিপাল গৌতম দাস, পুলিশ সুপার ডা. কিরণ কুমার কে,কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিঙ্কু শর্মা উপস্থিত ছিলেন। এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে তিনি ধর্মনগর ডিগ্রি কলেজে এনএসএস ইউনিট দ্বারা আয়োজিত রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি চলে যান পানিসাগর মহকুমার তিলথৈ স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ পরিদর্শনে। বেলা দুটো নাগাদ তিনি চলে আসেন ধর্মনগর মহকুমার অন্তর্গত যুবরাজনগর বিধানসভার হাফলং এলাকায়। সেখানে যুবরাজনগর মহকুমা কার্যালয়, গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর কার্যালয় ও ত্রিশটি মার্কেট স্টলের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে হাফলং বাজারের কালীবাড়িতে পূজার্চনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী হাফলং স্কুল মাঠে একটি জন সমাবেশে যোগ দেন । এই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টিআইডিসির চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়,এলাকার বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ,জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস, যুবরাজনগর ব্লকের আধিকারিক অভিজিৎ দাস, ধর্মনগর মহকুমাশাসক অর্ঘ্য সাহা, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে প্রথমেই প্রবাসের দ্বিতীয় দিনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সকালে বাগবাসা মণ্ডলের ১৯নং বুথে ‘ঘর ঘর বিজেপি’ অভিযানে বের হয়ে মানুষের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস এবং উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছেন তাতে তিনি নিশ্চিত আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ত্রিপুরায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তিনি তিলথৈ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দেখে বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেখে তিনি আপ্লুত। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ নীতির উপর ভর করে রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।যার উদাহরণ এবারের জেআরবিটি রেজাল্ট, যা স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হয়েছে। যা নিয়ে কোনও মামলা হয়নি।বিগত সরকার মানুষকে চাকরি দিয়েছিল যা ১০-১৫ বছর পর আদালতের নির্দেশে চলে গেছে। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দিয়েছে। কিন্তু কোনও মামলা হয়নি। আগের সরকার চাকরি দিলেই আদালতে মামলা হতো। এদিন তিনি সিপিএম ও কংগ্রেসকে তুলোধুনা করেন। তিনি বলেন,এই দুই দল দেশ ও রাজ্যকে শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যের দিকে দিকে এতো উন্নয়ন হয়েছে যার উদ্বোধন করার জন্য সময় পর্যন্ত তিনি দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নের নিরিখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…