বাসভাড়া নেই, ১৭০ কিমি রিক্সা চালিয়ে মেয়ের কাছে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা।

 বাসভাড়া নেই, ১৭০ কিমি রিক্সা চালিয়ে মেয়ের কাছে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || স্নেহ বড় বালাই ! অনেক দিন মেয়েকে দেখা হয়নি। মেয়েকে এনে যে বাড়িতে রাখবেন, সেই সামর্থ্য নেই।মেয়ের কাছে যে নিজে যাবেন, সেই পয়সাও সঙ্গে নেই। অথচ মেয়েকে দেখার জন্য মন আনচান করছে। খররৌদ্র মাথায় নিয়ে, একটি ভাঙা রিক্সা চালিয়ে ১৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা। যে বয়সে একজন মানুষ অন্যের সাহায্য প্রার্থনা করে, সেই বয়সের একজন মা তিন চাকার সাইকেলে অতটা পাড়ি দিচ্ছেন।হৃদয়বিদারক এই কাহিনি সম্প্রতি ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়। সন্তানের সুখের জন্য মায়েরা যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না, এই ঘটনা তার নিদারুণ প্রমাণ। কাঠফাটা গরম উপেক্ষা করে ওই বৃদ্ধা মায়ের রিক্সা চালিয়ে যাওয়ার ষোলো সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার পাচোর-বিওরার মধ্যবর্তী হাইওয়েতে বৃদ্ধার করুণ যাত্রার ভিডিয়োটি তোলা হয়েছে।‘হাম লগ’ নামের একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে প্রথম সেটি পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োর পোস্টে লেখা হয়েছে, বাসভাড়া না থাকায় তিন চাকার সাইকেল চালিয়ে প্রতিবন্ধী মায়ের অসাধ্য সাধন।সেখানে দাবি করা হয়েছে, আট দিন টানা সাইকেল চালিয়ে মেয়ের কাছে পৌঁছন মা। ভিডিয়োটির এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, এক হাতে নিজের রিক্সা ধরে অন্য হাতে সামনের চাকাটি সামনের দিকে ঠেলছেন তিনি। সম্ভবত, রাস্তার কোনও গর্তে পড়ে যাওয়া চাকাটি ঠেলতে চাইছেন তিনি। দেখা গেছে, সাইকেলের পিছনে মালপত্র বোঝাই, হয়তো মেয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন!যিনি ভিডিয়োটি তুলেছেন তিনি বৃদ্ধাকে প্রশ্ন করেন, আম্মা কোথায় যাচ্ছেন? জবাবে বৃদ্ধা বলেন, পাচোর। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কোথায় থাকেন। বৃদ্ধা বলেন, রাজগড়। একটি সংবাদ পোর্টালে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার। বৃদ্ধার নাম লিবিয়া বাঈ।তিনি থাকেন গুনা জেলার অশোকনগরে। তার একমাত্র মেয়ে সুভাষী থাকেন রাজগড় জেলার পাচোর এলাকার উদানখেদি গ্রামে। মেয়ে দূরে থাকায় অনেক দিন মেয়ে- মায়ে দেখা হয়নি।লিবিয়া দেবী বহু বাসচালককে নিজের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ও বাসই বিনা ভাড়ায় তাকে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। অবশেষে একটি ভাঙা রিক্সা সম্বল করে তিনি বেরিয়ে পড়েন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.