ভারতের সেনা বাহিনীর শক্তি ও পরাক্রম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল ‘প্রচণ্ডে’র অন্তর্ভুক্তিতে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার’ হিমালয়ের উচ্চতাতেও অনায়াসে শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করার ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ট্যাঙ্ক কিংবা চিনের ড্রোন— প্রচণ্ডের পরাক্রমের সামনে থরহরি কম্প সব! এই ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার’ বা এলসিএইচ তৈরি হয়েছে সরকারি হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা ‘হ্যাল’-এর কারখানায়। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এমন হেলিকপ্টার তৈরি করা, যা হিমালয়ের উচ্চতায় শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে পারবে।
সোমবার, মহাষ্টমীর দিন রাজস্থানের জোধপুরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে এই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হেলিকপ্টার সেনা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। হাজির ছিলেন ‘চিফ অফ এয়ার স্টাফ’ এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, এই হেলিকপ্টারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রচণ্ড’। রাজনাথ বলেন, ”আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিশ্বের সামনে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদনে উত্কর্ষ আবার প্রমাণিত হল।”
প্রচণ্ডকে বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ার কর্মসূচিতে সোমবার জোধপুরে রাজনাথ বলেন, ”আমাদের একটি আক্রমণে সক্ষম হেলিকপ্টার প্রয়োজন ছিল। ১৯৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধের সময় সেই অভাব অনুভূত হয়েছিল। প্রচণ্ড দু’দশকের নিরন্তর গবেষণার ফল। সামরিক সরঞ্জাম উত্পাদনের নিরিখে আজকের দিনটি মাইলফলক হিসেবে থেকে যাবে।”
এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারটি আগামী বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মাথার অন্যতম সেরা পালক হয়ে থাকবে— এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। অনায়াস দক্ষতার সঙ্গে কাজ শেষ করায় প্রচণ্ডের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত।
প্রচণ্ডের ওজন ৫.৮ টন। রয়েছে দু’টি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার থেকে বিভিন্ন অস্ত্র অব্যর্থ নিশানায় লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করায় সাফল্য অর্জন করেছে।
ভারতের কাছে আছে আমেরিকায় তৈরি ‘অ্যাপাচে’ চপারও। যা আকারে প্রচণ্ডের চেয়ে অনেকটাই বড়। কিন্তু নির্দিষ্ট উদ্দেশে তৈরি প্রচণ্ড হিমালয়ের উচ্চতাতেও অনায়াসে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম। ভারবহনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ভারতের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হেলিকপ্টারটি তৈরি।
লাদাখে পরীক্ষামূলক ভাবে এই চপার উড়ে বেড়িয়েছে।
তাতে দেখা গিয়েছে, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চিনা ড্রোনকে যেমন অনায়াস দক্ষতায় আঘাত হানতে পারছে, তেমনই মাটির উপর দিয়ে চলা ট্যাঙ্ককেও ছিন্নভিন্ন করে দিতে সমর্থ প্রচণ্ড। কারণ এতে রয়েছে, ‘এয়ার টু সারফেস অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিউনিশনস’।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ৯৫টি প্রচণ্ড ভারতীয় সেনার হাতে যাচ্ছে। তার মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। ৬৫টি প্রচণ্ড হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
এই প্রকল্পে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। হেলিকপ্টারটির ক্রমান্বয়ে আধুনিকীকরণের জন্যও বিরাট অঙ্কের অর্থ ধরা রয়েছে। যা আগামী দিনে খরচ করা হবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…