বিএসএফের গুলীতে ওপারের পাচারকারী মৃত, দেহ হস্তান্তর!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-চিনি পাচারে বারবার সংবাদ শিরোনামে কলমচৌড়া থানা। রবিবার সকালে কলমচৌড়া থানা এলাকার দক্ষিণ কলমচৌড়া আদমপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে নিহত হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারী।সীমান্ত অতিক্রম করে চিনি নিয়ে ফেরার সময়ে বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন ৪৫ নিহত হয়।বিজিবি তার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে।পরে কলমচৌড়া থানা ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সীমান্তে ছুটে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে বক্সনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে।পরে ময়নাতদন্ত হয়। এই ঘটনার পর বিএসএফ ও বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিং হয় বিকাল পাঁচটা নাগাদ।ফ্ল্যাগ মিটিং শেষে মৃতদেহ বিজিবির মাধ্যমে নিহতের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংবাদে প্রকাশ কলমচৌড়া থানা এলাকার বিভিন্ন সীমান্ত পথে প্রতিদিনই ব্যাপক পরিমাণে চিনি পাচার হয়। পাচারকারীদের জন্য সীমান্ত কোন বাধা নয়।কাঁটাতারের বেড়াও কোন বাধা নয়, পাচারকারীরা বেপরোয়াভাবে চিনি নিয়ে সীমান্তের এপার ওপার করে থাকে। বিএসএফ-কে তারা আমল দিতে নারাজ।গত ২ রা জুন সীমান্তের এই এলাকায়ই পাচারকারীরা বিএসএফের এক জওয়ানকে মারধর করে আগ্নেয়াস্ত্র,ওয়াকিটকি নিয়ে ওপারে চলে যায়।পরে বিএসএফ- বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিং-আগ্নেয়াস্ত্র ও ওয়ারলেস সেট ফেরত আসে। সকালে বাংলাদেশি পাচারকারী চিনির বস্তা নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে যাবার সময় বিএসএফ বাধা দেয়। বাধা না মেনে পালাতে গেলে বিএসএফ গুলী চালায়। পরপর দুই রাউন্ড গুলী ছুড়লে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার গায়েই লুটিয়ে পড়ে আনোয়ার হোসেন। কলমচৌড়া থানা এলাকার চিনি পাচার নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পণ্যবাহী গাড়িগুলির বেপরোয়া যাতায়াতে ব্যতিব্যস্ত জনজীবন কয়েকদিন আগে পাচারকারীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘটে। উত্তাল হয়ে উঠে কলমচৌড়া থানা চত্বর,স্থানীয় মানুষ ওসির কোয়ার্টারে হামলা চালায়।প্রাণরক্ষায় ওসি আত্মগোপন করেমৃতদেহ নিয়ে থানার সামনে ধর্নায় বসে মানুষ।এরপরও পাচার বানিজ্যে বিরাম নেই।২জুন কালীকৃষ্ণনগর এলাকায় ৫ নং পিলারের কাছে পাচারকারীরা বিএসএফকে আক্রমণ করে রাইফেলও ওয়ারলেস সেট নিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যায়। এই নিয়েও সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পাচারকারীরা কোনও বাধাই মানতে রাজী নয়।তাদের বেপরোয়া মনোভাবে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে।