মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার অনুরোধে আনন্দবাজার থানাধীন রামমণিপাড়ায় বিএসএফ জওয়ান হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-এর অধীনে নিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। ২০২২ সালের ১৯ আগষ্ট উত্তর ত্রিপুরা জেলার আনন্দবাজার থানাধীন রামমণিপাড়ায় টহলরত বিএসএফ জওয়ানদের উপর সীমান্তের ওপার থেকে অতর্কিতে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব তুইপ্রা বা এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। ঘটনার পর রাজ্য পুলিশ বিষয়টির তদন্তকাজ শুরু করলেও প্রথম থেকেই এর সাথে আন্তর্জাতিক যোগসাজশের আঁচ পান রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন।যথারীতি যাবতীয় প্রাথমিক তথ্যাদি সংগ্রহের পর বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সাথে শলাপরামর্শ জঙ্গি শুরু করেন তিনি। স্থির হয় ঘটনার তদন্তভার এনআইএর হাতে তুলে তদন্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে মিনিস্ট্রি অব হোম অ্যাফেয়ার্সে।যথারীতি প্রস্তাব পাঠানোও হয়। সমস্ত বিষয়াদি বিবেচনার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার এনআইএ-কে নির্দেশ, দেয় ঘটনার তদন্তভার হাতে নিতে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ পেয়ে দিন কয়েক আগে এনআইএ রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার সঁপে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত সিজার ডকুমেন্টস সহ কেস ডকেট এনআইএ- বা এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এনআইএ-র হাতে যাওয়া মামলার নম্বর RC 2/2023. মঙ্গলবার রাজ্য ন পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আনন্দবাজার থানা এলাকায় বিএসএফের উপর সংঘটিত জঙ্গি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগসাজশ রয়েছে। ফলে এ বিষয়ে ছিল তদন্ত প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার উপর ন্যস্ত করার ভাবনাচিন্তা প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল। এনআইএ এই স্বঘে মামলার তদন্তকার্যে প্রয়োজনবশত ইন্টারপোলের সহায়তাও নিতে পারে। ডিজিপি জানান, ওই হামলার ঘটনায় এফআইআর-এ উল্লেখিত সাত জঙ্গি ত্রিপ সদস্য ছাড়াও আর যারা যারা জড়িত বিশ্ব রয়েছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না । উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ আগষ্ট সকালে উত্তর জেলার আনন্দবাজার থানাধীন রামমণিপাড়ার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিএসএফ ১৪৫ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এনএলএফটি জঙ্গিরা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে আচমকা গুলীবৃষ্টি শুরু করে। তাতে বিএসএফের হেড কনস্টেবল গ্রিজেশ কুমারের মৃত্যু হয়। জঙ্গিদলের নেতৃত্বে ছিল স্বঘোষিত লেফটেনেন্ট বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়া। এছাড়াও ছিল স্বঘোষিত সার্জেন্ট ছত্রভঙ জমাতিয়া, স্বঘোষিত ওয়ারেন্ট অফিসার রেমনাল কলই, স্বঘোষিত সার্জেন্ট রঙ্গিয়া রিয়াং, কাউলা কাইপেং, তির্তি কুমার মলসম (স্বঘোষিত কর্পোরাল) এবং লেবাজয় ত্রিপুরা।উল্লেখ্য, এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠীকে The Unlawful Activities Prevention Act (UAPA) অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, নয়াদিল্লীর পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এনআইএ-র বিশেষ আদালত রয়েছে। যদিও আপাতত পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা জজের আদালতে এনআইএ-এর বিশেষ আদালত রয়েছে। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে রয়েছেন বিদ্যুৎ সুত্রধর। আপাতত এখানে প্রাথমিক প্রক্রিয়া চললেও শেষ পর্যন্ত দিল্লীর পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রের খবর।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…