বিকাশ তীর্থে মোদির সাফল্যের প্রচার করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 বিকাশ তীর্থে মোদির সাফল্যের প্রচার করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৯ বছরের কার্যকালে যেসব উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড হয়েছে তার প্রচারে মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে পদ্মশিবির।তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা এদিন লেম্বুছড়া জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিশ্চিন্তপুর নির্মীয়মাণ রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।আমবাসায় জিয়লছড়ায় জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি শ্রীভট্টাচার্য।বিকাশ তীর্থ কর্মসূচিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যগণও যোগ দেন। রামনগরে আইসিপি সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মাণ লাইট হাউসের কাজ ঘুরে দেখেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিন্হা। বিকাশ তীর্থ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার লেম্বুছড়া জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ বছর সময়ে যে জনকল্যাণমূলক কাজগুলি করেছেন তা মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের দরবারে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। সব দেশ ভারতবর্ষকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে।তাছাড়া ভারত একটি বিকাশমুখী ও উন্নয়নমুখী দেশে পরিণত হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। তার উদাহরণ হিসেবে বলেন, ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় ৫ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেরকম উন্নত হয়েছে, তার সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলিও অনেক উন্নত হয়েছে এবং মানুষ সেই সুযোগ পাচ্ছে। কেননা, মোদিজির কার্যক্রমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম। ত্রিপুরাতেও তার প্রচুর কীর্তি ও কাজ রয়েছে। আজ দেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্য যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুরো কৃতিত্ব।তাই প্রধানমন্ত্রীর নয় বছরের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে এক মাসব্যাপী বিকাশ তীর্থ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে দলের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক কাজগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই একমাত্র লক্ষ্য।এ দিন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যাবতীয় পরিকাঠামো দেখে তিনি খুবই আপ্লুত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশের মুখে জগন্নাথ দেবের পুজোশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি এবং অন্যান্য অংশগুলি ঘুরে দেখেন। ফ্যাকাল্টিদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান। বৈদিক সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্যাকাল্টিদের থেকে জানার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাশাপাশি বিএ, এমএ এবং পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। আনন্দের বিষয় এই প্রতিষ্ঠানে জনজাতি অংশের অনেক ছাত্রছাত্রীরাও পড়াশোনা করছে। ক্লাসগুলো খুবই উন্নতমানের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ভারতবর্ষের যে বৈদিক সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতিকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ওই কালচারটাকে ধরে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়। যা প্রশংসনীয়। আগামীদিনে রাজ্যে আরও যে উন্নয়নমূলক কাজ হবে বিভিন্ন কথার মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেই ইঙ্গিত দিলেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, বিজেপি প্রদেশ সম্পাদক রতন ঘোষ ও বিজেপি দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সহ অন্যরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.