নেশা যে কত রকমের হয় ! বিড়ি – সিগারেট , এমনকী মদ্যপানও বাদ দিন । ড্রাগ চরস সে সবও নস্যি । আয়ারল্যান্ডের এই মহিলার নেশা ছিল ‘ এএ ’ এবং ‘ এএএ ’ ব্যাটারি খাওয়া ! হ্যাঁ , ঠিকই শুনছেন । ডাবল এ ব্যাটারি মানে যেগুলি দেওয়াল ঘড়িতে লাগে । ট্রিপল এ হল যে ব্যাটারিতে টিভি এসি ইত্যাদির রিমোর্ট চলে । এই মহিলা সেই ব্যাটারি খেতেন । খেতেন মানে ব্যাটারি না খেতে পেলে তার মন উশখুশ করত । সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের ওই মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করে ডাক্তারবাবুরা পেট ও অস্ত্র থেকে বার করলেন ১-২টি নয় , ৫৫ টি আস্ত ব্যাটারি ! মহিলার এমন বিচিত্র নেশার বহর দেখে ডাক্তাররাও কার্যত চমকে গেছেন ।ওই মহিলার বয়স ৬৬ বছর ।আইরিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে সায়েন্স অ্যালার্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , শরীরে চরম ক্ষতি হবে , এমনকী এমন কাণ্ডের জেরে তার মৃত্যুও হতে পারে এটা জেনেও ওই বৃদ্ধা ৫৫ টি ব্যাটারি গিলে খেয়েছিলেন । ঠিক কী ঘটেছিল ? সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে , মাস কয়েক আগে তার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় । তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন । এক্স রে করে ডাক্তারবাবুরা দেখেন , তার পেটের ভিতরে একাধিক ফরেন বডি’র উপস্থিতি রয়েছে । কয়েক সপ্তাহ বাদে ওই মহিলাকে ডাবলিনের ভিনসেন্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে এমআরআই করে জানা যায় , বৃদ্ধার পেটে বহু সংখ্যক ব্যাটারি রয়েছে । কিন্তু যেহেতু ব্যাটারিগুলি রোগীর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাকে বাধার সৃষ্টি করছিল না তাই ডাক্তারবাবুরা প্রাথমিকভাবে তার শরীর থেকে ব্যাটারিগুলি স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন । সেই কারণে বৃদ্ধাকে কড়া ডোজের পারগেটিভ দেওয়া হয় । এক সপ্তাহ এ ভাবে চিকিৎসার পর দেখা যায় , স্বাভাবিক ভাবে মাত্র পাঁচটি এএ ব্যাটারি বৃদ্ধার শরীর থেকে বেরিয়ে এসেছে , বাকিগুলি তার পেট ও অন্ত্রে আটকে গেছে । বাকিগুলি মহিলার পাকস্থলী এবং অন্ত্রে জমে রয়ে রয়েছে । এমনকী সেই ব্যাটারিগুলির ওজনের কারণে পাকস্থলী ঝুলে পিউবিক হাড়ের কাছে নেমে এসেছে । অনন্যোপায় হয়ে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন । ততক্ষণে মহিলার পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়েছে । ডাক্তারবাবুরা মহিলার পুরো পেট না কেটে মাইক্রো সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন । রোগীর পাকস্থলীতে ফুটো করে একটি একটি করে ৪৬ টি ব্যাটারি বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা । অন্য ব্যাটারিগুলি , যেগুলি বৃহদন্ত্রে আটকে ছিল , সেগুলিকে বিশেষ পদ্ধতিতে মলদ্বারের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয় । তারপর পাউডার দিয়ে সেগুলিকে বের করে আনা হয় । এই পদ্ধতিতে শেষ পর্যন্ত আরও ৯ টি ব্যাটারি বার করা হয় । ভিনসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে , ব্যাটারি খাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল । এর আগে অনেকেই বিভিন্ন জিনিস গিলে ফেলে থাকলেও একসঙ্গে ৫৫ টি ব্যাটারি , তাও আবার এএ এবং এএএ সাইজের , চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসের এমন ঘটনা এই প্রথম । মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে , সাধারণত শিশুরা ছোট , বোতাম – স্টাইলের ব্যাটারি গিলে ফেলে । প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ব্যাটারি গিলে ফেলা প্রাণঘাতী হতে পারে । বিশেষত ব্যাটারি গলায় আটকে গেলে মুখের লালা থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয় , যা খাদ্যনালীকে পুড়িয়ে দেয় । তবে অস্ত্রোপচারের পর ওই মহিলা আপাতত সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে ।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…