দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ শারদোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দলে ফের জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। এই তৎপরতা এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে, দলের হাইকমাণ্ড একেবারেই সময় নষ্ট করতে রাজি নয়। গোটা রাজ্যবাসী যখন শারদোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা, তখনই বিজেপি হাইকমাণ্ড আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের কোর কমিটি এবং নির্বাচন কমিটি গঠন করে নিয়েছে। রাজ্য বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আগামীকালই কোর কমিটি এবং নির্বাচন কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হবে।
যতটুকু জানা গেছে, নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে পাঁচজনকে নিয়ে। এরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ এবং প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তবে তালিকা প্রকাশ হলে স্পষ্ট হবে নির্বাচন কমিটিতে অন্য আরও কেউ আছে কি না। কোর কমিটিতে এই পাঁচজন ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, তিনজন সাধারণ সম্পাদক সহ আরও কয়েকজন রয়েছেন। রাজ্য প্রভারি ডা. মহেশ শর্মা সহ দুই-একজন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোর কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন বলে খবর। তবে সবটাই পরিষ্কার হবে তালিকা প্রকাশের পর। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, সংগঠন নিয়ে দলের হাইকমাণ্ড এখনও বেশ উদ্বিগ্ন। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও বেশ চিন্তিত বলে খবর।
যে কারণে মুখ্যমন্ত্রী বদলের পর ফের চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক মহামন্ত্রী বি এল সন্তোষ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর সম্বিত পাত্রা। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৯ অক্টোবর রাজ্যে আসবেন সম্বিত পাত্রা। তিনি ১৯ এবং ২০ অক্টোবর রাজ্যে অবস্থান করবেন। ২১ অক্টোবর রাজ্যে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠন মহামন্ত্রী) এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় কোর কমিটির অন্যতম সদস্য বি এল সন্তোষ। মুখ্যমন্ত্রী বদলের পর এই নিয়ে তিনবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতৃত্ব। একবার এসেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
তবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা যে অভিজ্ঞতা নিয়ে গেছেন, তা রাজ্য বিজেপির জন্য মোটেও সুখকর ছিলো না। বিশেষ করে খুমুলুঙে নাড্ডার সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে, সভাকে সফল করার ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। এরপর থেকেই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ত্রিপুরা নিয়ে নড়েচড়ে বসে।
এদিকে, আগামীকাল গুয়াহাটি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা । আগামীকাল গুয়াহাটিতে উদ্বোধন হতে চলেছে বিজেপি ভবনের। সেই উদ্বোধনে হাজির থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ উত্তর পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরা। জানা গেছে, আগামীকাল বিজয়া দশমীর কার্নিভেলে মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন না। তিনি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেই চলে যাবেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…