বিজেপির বিদায় নিশ্চিত: মানিক উপজাতি মানুষ ঐক্যবদ্ধ: জিতেন!!

 বিজেপির বিদায় নিশ্চিত: মানিক উপজাতি মানুষ ঐক্যবদ্ধ: জিতেন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-১৮তম লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিল বিজেপি। আর মানুষও এই জনবিরোধী বিজেপি সরকারকে হাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। যা প্রথম দফায় দেশের ১০২টি আসনের ভোটে প্রমাণিত হয়েছে।এই ১০২টি আসনে জেতার মতো সংখ্যা পাচ্ছে না বিজেপি, এনডিএ।বিজেপি বড়জোর কুড়ি থেকে ত্রিশটি আসনে জয়ী হলেও হতে পারে। আজ আমবাসায় নির্বাচনি সমাবেশে এমনই দাবি করলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক।পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং-এর সমর্থনে আমবাসা, কুমারঘাটে মিছিল ও সমাবেশ করেছে সিপিএম কংগ্রেস নেতৃত্ব।এদিনের মিছিল সমাবেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, ইন্ডিয়া জোটের সিপিএম প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, রাধাচরণ দেববর্মা, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, অঞ্জন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, রাজ্যের উপজাতি মানুষের সর্বক্ষেত্রে ক্ষতি করছে বিজেপি, আইপিএফটি, তিপ্রা মথা। নির্বাচন আসলেই এদের উপজাতি দরদের কথা মনে পরে। আর রাজ্য ভাগের আবেগকে পুঁজি করে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে উপজাতি মানুষের সাথে ছলচাতুরি হচ্ছে।বিজেপি ও তার সহযোগীরা ভুলে যাচ্ছে এরা মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ মানুষের ভোটে ক্ষমতায় বসে এদের নেতা, মন্ত্রীরা আমোদ-প্রমোদ, আনন্দ-অনুষ্ঠানে ব্যস্ত।পৃথক রাজ্যের নামে উপজাতি দরদকে পুঁজি করে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার পর রাজ্যবাসী, বিশেষ করে উপজাতি মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না।তবে একাংশ তথাকথিত উপজাতি দরদি নেতার ব্যক্তিগত শ্রীবৃদ্ধি ঠিকই হচ্ছে।রাজ্যের জন্যে সুখবর হলো, অনুউপজাতি, উপজাতি অংশের মানুষ এদের মিথ্যাচার এখন ধরে ফেলেছেন। এরই প্রতিফলন পশ্চিম আসন, সাত রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের মতো পূর্ব লোকসভা আসনেও ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং-এর সমর্থনে যাবে। তার দাবি বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।
বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী কুমারঘাটে নির্বাচনি সমাবেশে বলেন, পরাজয়ের আতঙ্কে বিজেপি, মথা, আইপিএফটি মিথ্যা নির্ভর বক্তব্যে ব্যস্ত।যা শুনে রাজ্যবাসী হাসছেন।আর ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর সমর্থনে মানুষের উপস্থিতি দেখে রাতের ঘুম বিজেপি-মথার নেই। বিজেপি-মথাকে বিদায় জানাতে উপজাতি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে তিপ্রা মথার বিশ্বাসঘাতকতার জন্যে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়নি। বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্যে অনুউপজাতি-উপজাতি মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির কাজ করেছে মথা। তবে এতে করে রাজ্যের উপজাতি মানুষের কোনও লাভ হয়নি।এমনকী এখন পৃথক রাজ্য গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডও গায়েব। সাংবিধানিক সমাধানও হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।যা রাজ্যের উপজাতি মানুষ এখন বুঝতে পারছেন, যে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।তাই এখন আইপিএফটির মোডালিটি কমিটির মতো এক পাতার একটি চুক্তিপত্র নিয়ে এসেছে মথা।তবে ভালো দিক হলো রাজ্যের মানুষ মথা-বিজেপির এই মিথ্যাচারে কর্ণপাত করছেন না। উল্টো তাদের বিদায় জানাতে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন বলে শ্রীচৌধুরী মন্তব্য করেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.