বিজেপির মেগা শো!!

 বিজেপির মেগা শো!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশের রাজধানী দিল্লীতে বিজেপির ২ দিনের মেগা শো শুরু দেহ হয়েছে শনিবার ২ দিন চলবে এ বৈঠক।বিজেপির জন্মের পর এত বড় দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠক আর অনুষ্ঠিত হয়নি।স্বভাবতই এই বৈঠক ঘিরে সবার নজর রয়েছে।একবারে পঞ্চায়েত থেকে সর্বোচ্চ পদাধিকারীরা পর্যন্ত এই বৈঠকে হাজির রয়েছেন।ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে ভারতীয় মণ্ডপম।যে মন্ডপমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিলো জি- ২০ বৈঠকের সময়।প্রগতি ময়দানে ঝা চকচকে এই ভারতীয় মণ্ডপমকে এবার বাছা হয় বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকের জন্য। একদিকে বিজেপির শীর্ষ পদাধিকারীরী বৈঠকে যেমন হাজির থাকবেন তেমনি বৈঠকে থাকবেন একেবারে পঞ্চায়েত স্তরের কর্মকর্তা। আলোচনা হবে একেবারে তৃণমূল স্তরে।বিজেপি এবার টার্গেট করেছে কমপক্ষে ৩৭০ টি আসন।বেশি পক্ষে ৪০০ পার।সেই লক্ষ্যে বিজেপি এবার রণকৌশল ঠিক করবে। যদিও দলের রণকৌশল ঠিক অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়ে গেছে।অপারেশন লোটাস একের পর এক চলছে।বিরোধীদলের নেতা নেত্রীর উপর সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্সের চোখ রাঙানি তো রয়েছেই।উত্তর ভারত জুড়ে বিজেপি জানে তারা ভালো ফল করবে।বিজেপির মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারত। পূর্ব ভারতের মধ্যে বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা বড় রাজ্য এবং সবকটি রাজ্যই বিরোধীদের দখলে।
সম্প্রতি বিহারে অপারেশন লোটাস সুসম্পন্ন করে বিহার দখল হয়ে গেছে বিজেপির। বাকি রইলো ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা। ওড়িশার নবীন পট্টনায়েককে নিয়ে বিজেপির অস্বস্তির কোনও কারণ নেই।তিনি সব সময় মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। প্রয়োজনে বিজেপিকে তিনি সমর্থন জোগাবেন।অন্যদিকে দক্ষিণে বিজেপির বেশি সুবিধা হবে না বলে প্রায় ধরেই নিয়েছে।তাই এজন্য লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ইডি, সিবিআই’র নোটিশ, ধরপাকড়ের ভয় তাড়া করছে বিরোধী নেতানেত্রীদের।ইতিমধ্যেই ফারুক আবদুল্লাকে নোটিশ ধরানো হয়েছে, ইডির সুতোয় ঝুলছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাগ্য।এই অবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল ঠিক করা নিয়ে দিল্লীতে মেগা বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে শেষবার এই ধরনের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো।সেবার দলীয় সভাপতি ছিলেন বিজেপির লৌহপুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানি।সেই বৈঠকেই পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষিত হয়েছিলো।প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির অপর শীর্ষ নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী। সে সময় প্রায় ১০ হাজার প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ৩০ বছর পর এত বড় মাপের দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠক আয়োজিত হচ্ছে।২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লীতে জাতীয় পরিষদের বৈঠক হয়েছিলো।তাতে প্রায় হাজার তিনেক দলীয় কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদির কদর এবং বহর বেড়েছে।এবার তাই বড় আকারে দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে, তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র এবং নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসন পাকা।এই আয়োজনটা একেবারে বড়ো আয়োজনে না করলে নয়। এপরের বিজেপির এই মেগা শোতে প্রায় ১২ হাজার দলীয় নেতা কর্মী হাজির করার কথা রয়েছে। উদ্বোধন করবেন দলীয় সভাপতি জপি নাড্ডা। শেষ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।প্রধানমন্ত্রী কি বার্তা দেন তার দিকেই এখন সবার নজর।২০২৪ সালে লোকসভা র্বাচনের পক্ষে কাঠি পড়া শুধু বাকি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.