দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!
বিজেপি কার্যকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || চাওয়া পাওয়ার নিরিখে কার্যকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক বিষয়।এসব থাকবেই। এ সবের পরও দলীয় স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখা প্রয়োজন।শুক্রবার আগরতলা টাউন হলে বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের অঙ্গ হিসেবে শক্তিকেন্দ্র বিস্তারক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।

এদিনের কর্মসূচিতে বুথ,মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র ও দলের সাতটি জেলাস্তরের কার্যকর্তারা অংশ নেন।প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন,প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, চারিদিকে অজস্র সমস্যা সৃষ্টি করে ঘোলা জলে মাছ ধরার রাজনীতি করে গেছে সিপিএম। বিজেপি কাজ করে মানুষের সমস্যা যাতে নায় হয়। তিনি বলেন, আগে দলের কোনও একটা কমিটি গড়তে গেলে তাতে সিপিএমের কেউ স্থান করে নিল কিনা তা দেখতে হতো।এখন সমস্যা আরেকপ্রস্থ বেড়েছে। কংগ্রেস সিপিএম দুটো দলেরই কেউ ঢুকে পড়লো কিনা এখন সেদিকে নজর রাখতে হচ্ছে! কারণ দুটি দলই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।দলীয় কার্যকর্তাদের এই কুচক্রীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনওভাবেই তাদের ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না।মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলের সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকর্তাদের বিস্তারিত খোঁজখবর রাখেন।

এটা বিজেপি কর্মীদের কাছে গর্বের বিষয়। দেশকে শক্তিশালী করতে গেলে পার্টিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।২০১৮ সালে রাজ্যকে কমিউনিস্ট শাসন থেকে মুক্ত করার পাশাপাশি তেইশের বিধানসভা নির্বাচনেও পদ্মশিবিরের জয়লাভের পেছনে বিরাট অবদান রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।এই অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে দুটো আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে।এ জন্য প্রতিটি কার্যকর্তাকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতেও আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ‘আমার বুথ শক্তিশালী বুথ’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সব কার্যকর্তা অক্লান্ত পরিশ্রম করে।তাতেই অভাবনীয় সাফল্য পায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বলেন, ইদানীং দলের প্রতি কার্যকর্তাদের একাগ্রতা এবং ধারাবাহিকতায় কিছুটা খামতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির খামতি দুর্বলতা দূর করতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলবিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে দেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।তিনি বলেন,এই ধরনের লোকেদের কিছুতেই রেয়াত করা হবে না।তাদের বিরুদ্ধে যথা সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাদের কার্যকলাপের দিকে দলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।এ দিনের কর্মসূচিতে প্রদেশ বিজেপির বুথ সশক্তিকরণের ইনচার্জ তথা বিধায়ক কিশোর বর্মণ সহ অন্যরা ছিলেন।