বিজেপি ঠকবাজ,ধাপ্পাবাজঃ মহ:সেলিম
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। বিজেপি প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সংগঠিত হওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ত্রিপুরা থেকে বামফ্রন্টকে হটিয়ে একটা লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই গুলি করার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । গোটা দেশে গণতন্ত্র কে চেপে ধরেছে। কংগ্রেস ও সিপিএম জোটকে ওড়া মেনে নিতে পারছে না। ভয় পেয়েছে। জনগণের জীবন জীবিকাকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। একমাত্র সিপিএমই পারে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে। রুজি রোজগার ফিরিয়ে দিতে। আমরা যা বলি তা করে দেখাই। বিজেপির মতন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ঠকবাজ, বাটপার নই। কথাগুলি বললেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরোর সদস্য তথা পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম।
বৃহস্পতিবার তিনি বিলোনিয়া রাজনগর সফরে আসেন। ৩৪ রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুধন দাসের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ সেলিম। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওরা খবরের কাগজ, সামাজিক মাধ্যম, টিভি চ্যানেল নিজেদের দখলে নিয়ে আসার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচা করে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে যা জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। মানুষের মগজের মধ্যে বিষ ঢোকাতে চাইছে। মিথ্যাকে সত্য বলে চালাতে চাইছে। দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করছে। মানুষের আয় কমেছে। বেকারি বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম হুড়হুড় করে বাড়ছে। বলেছিল কালো টাকা বের করে আনবে। কালো টাকা নয়। রংবেরঙের টাকা বের করেছে। বিজেপি বলেছে সন্ত্রাসবাস থাকবে না। দুর্নীতি থাকবে না। মিসকলে চাকরির ব্যবস্থা হবে। কৃষকের উন্নতি হবে। কোথায় গেল এসব?কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। প্রশ্ন তুলে বলেন, কার টাকা এগুলো। বিজেপির টাকা? না জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহীত করা টাকা? মোঃ সেলিম বক্তব্য বলেন, বামফ্রন্ট শাসনে ত্রিপুরা সব দিক থেকে উন্নয়নে এগিয়ে গিয়েছিল। যা দেশ নয় বিদেশেও ত্রিপুরা ভালো পরিচিতি পেয়েছিল। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, জাতি জনজাতিদের আর্থসামাজিকের মান উন্নয়ন করে দেখিয়েছিল। মোঃ সেলিম বলেন, বিজেপি ধাপ্পাবাজ। ঠকবাজ। কি করেছে বিজেপি? ডিজেলের দাম বেড়েছে পেট্রোলের দাম বেড়েছে গ্যাসের দাম বেড়েছে কেরোসিনের দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। একেই কি উন্নয়ন বলে? বলছে ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। যদি ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হয় চালক কি করে দুইজন? ত্রিপুরা রাজ্যে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টিয়ে আরেকজন মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। ইঞ্জিনের চালক যদি ঠিক না থাকে গাড়ি তো এদিকে ওদিক ব্যালাইন হয়ে পড়তে পারে। আদানি, আম্বানির মতো লোকদের কাছে দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা কুক্ষিগত। রাজ্যের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য, জাতি জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, নায্য কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিবাদ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, ত্রিপুরাকে আবার আগের মতন উন্নয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক দিক থেকে দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বামফ্রন্ট প্রার্থী সুধন দাস কে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান মোহাম্মদ সেলিম। বললেন, লাল ঝাণ্ডাই একমাত্র আমাদের পায়ের তলার মাটিকে শক্ত করে তুলতে পারে। আর পায়ের তলার মাটি শক্ত হলেই আমরা আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, রাস্তাঘাট, কর্মসংস্থান, কর্মচারীদের উন্নয়ন সব কিছুরই অধিকার চাইতে পারি। পূরণ করতে পারি। বললেন, রাজ্যে শাসক দলের কারা কারা অর্থনৈতিকভাবে ফুলে পেঁপে উঠেছে তাও কৈফিয়ত চাওয়া হবে নির্বাচনের পর। ২৩ নির্বাচনে সিপিএম কংগ্রেস জোট জয়ী হবে। আর তাতেই আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। রাজনগর কলোনি দ্বাদশ বিদ্যালয়ের বিপরীতে রাজনগর তহশীল মাঠে এদিন সিপিএমের নির্বাচনী জনসভায় এই কেন্দ্রের প্রার্থী সুধন দাসও বক্তব্যে বিজেপি র বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।