মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
বিজেপি দল থেকে বহিষ্কৃত দুই নেতার ১৪ দিনের জেল হাজত!!
অনলাইন প্রতিনিধি:- ভয় দেখিয়ে অসহায় গৃহবধুকে দিনের পর দিন লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার এবং দল থেকে বহিষ্কৃত শাসক দলের দুই প্রাক্তন যুব নেতাকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠালো আদালত। শুক্রবার বিকেলে খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্ত সুব্রত দাস এবং অজয় দাসকে আদালতে হাজির করলে, আদালত দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ
দেন। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মহিলা থানার পুলিশ ৩২৯ (২)/ ৭৬/৬৪/৬২/৩ (৫) বিএনএস ধারায় মামলা গ্রহণ করে। যার কেইস নম্বর ৩০/২০২৪। দুই অভিযুক্ত সুব্রত দাস এবং অজয় দাস খোয়াই বিধানসভার ১৮ নং বুথের শাসকদলের পদাধিকারী এবং কার্যকর্তা ছিলেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযোগ, গত চারদিন ধরে বহু কৌশলে অবলম্বন করা হয়েছিল অভিযুক্তদের বাঁচাতে।মহিলা থানার পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা, অভিযোগ কারিণীর পরিবারকে ভয়- ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করানো, সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ পরিবেশন না করার হুমকি- ধমকি ইত্যাদি বহু ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছিল। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে শাসকদলের নেতৃত্বরা চেরমা এলাকায় এক প্রস্ত রাস্তা অবরোধের নাটক করিয়ে শেষ চেষ্টা করেছিল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এবং দল থেকে বহিষ্কৃত দুই নেতাকে ছাড়িয়ে আনা যায় কিনা। চেরমা জাতীয় সড়কের উপর ভাড়া করে লোক এনে রাস্তা অবরোধ করানোর চেষ্টা হয়।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ ছুটে গেলে লাঠির ভয়ে ভাড়াটিয়া অবরোধকারী দিনমজুর শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। অভিযোগ, গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্তের সহকর্মীরা একটি শ্রমিক বোঝাই গাড়ি আটকে, গাড়ির উপরে থাকা শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে রাস্তা অবরোধের নাটক করানো হয়। উল্লেখ্য, খোয়াই উত্তর সিঙ্গিছড়া গ্রামের বিরোধী সমর্থিত এক অসহায় দিন দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূকে ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এই দুই বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বহুদিন ধরে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধর্ষণ করে আসছিল বলে গৃহবধূর অভিযোগ ছিল। লেখাপড়া না জানা এই পরিবারটি এক মুহুরির নিকট থেকে দুপাতার অভিযোগ এক হাজার টাকার বিনিময়ে লিখিয়ে এনে গত ১১ নভেম্বর মহিলা থানায় জমা দিয়েছিলেন। মুহুরি এই অভিযোগ পত্রে কি লিখলেন সেই বয়ান পর্যন্ত তারা পড়তে পারেনি। খোয়াই মহিলা থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল ১১ নভেম্বর। কিন্তু মহিলা থানার ১৩ নভেম্বর মামলাটি গ্রহণ করে অভিযোগ এই দুইদিন অভিযোগকারিনী পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় মামলা প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ যেদিন এই নির্যাতিত মহিলাকে আদালতে জবাবন্দি নেবার ব্যবস্থা করেন এর আগের রাতে এই পরিবারটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয় জবানবন্দিতে ধর্ষণেরর কথ না বলতে।