খবরে প্রকাশ,বিজেপি ও সংঘ কাছাকাছি আসছে।অর্থাৎ ২ গোষ্টীর মধ্যে শীতলতা কাঠছে।মোদি জমানায় সংঘের দাপট অনেকটা কমে গেছিল।যার ফল হাতেনাতে পেয়েছে বিজেপি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। একদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপির শোচনীয় ফল হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্ব এবং সংঘের পদাধিকারীরা এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকেই বিজেপি নেতৃত্ব একদিকে যেমন বুঝতে পেরেছে যে সংঘকে দূরে ঠেলে দেওয়ার জন্যই বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকী লোকসভা ভোট চলাকালীন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা মন্তব্য করেছিলেন যে, বিজেপির কাছে সংঘের এখন আর গুরুত্ব নেই।যখন বিজেপি ছোট ছিল,তিল তিল করে গড়ে ওঠেছিলো সে সময় বিজেপিকে সাহায্য করেছিল আরএসএস।কিন্তু এখন বিজেপি মহীরূহ হয়ে উঠেছে। তাই এখন বিজেপির আরএসএসকে দরকার না হলেও চলবে।ভোট চলাকালীন জেপি নাড্ডার এই মন্তব্যে অবশ্য প্রতিক্রিয়া দেয়নি আরএসএস।শুধু তাই নয়, এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির পাশে আরএসএসকে দেখাই যায়নি।অথচ একসময় এই আরএসএস ছিল বিজেপির প্রাণভোমরা।কিন্তু মোদি-শাহ জমানায় আরএসএসকে একঘরে করে রাখা হয়। যদিও এবারের লোকসভা ভোট মিটে যাবার পর বিজেপিকে প্রথম ধাক্কাটি দিয়েছিলেন সংঘ চালক মোহন ভাগবত স্বয়ং।মোদির নাম না নিয়ে মোদিকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মোহন ভাগবত বুঝিয়ে দেন আরএসএসকে অবজ্ঞা করলে ফল এরকমই হবে। প্রশ্ন তোলেছিলেন মোদির ‘আমিত্ব’ নিয়েও।আমিই সব- আমিই সব করছি- এই মতাদর্শ বা এরকম ভাবনা ঠিক নয় বলে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরামর্শও দেন মোহন ভাগবত।আরএসএস মুখপত্র অবজারভার-এ কঠোর সমালোচনা করা হয়। এক কথায় বিজেপিকে আরএসএস বুঝিয়ে দেয় যে, বেশি বাড় বেড়ো না।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল যেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের চাকরি চলে যাবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংঘের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় মোদি-শাহকে।যোগীকে সরানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।অথচ উত্তরপ্রদেশের হারের জন্য যোগীকে কাঠগড়ায় তুলতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব (দিল্লী নেতৃত্ব) কোনও কসুর বাকি রাখেনি। যদিও সংঘের চাপে তাতে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি বিজেপি।
আজকের নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আরএসএসই প্রস্তাব করে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে। সে সময় লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজরা এ নিয়ে তীব্র গোঁসা করেছিলেন।কিন্তু সংঘের প্রবল প্রতাপে আদবানি, সুষমারাও সে সময় চুপটি মেরে যান।এরপর ২০১৪ সালের পর দেশে মোদিরাজ শুরু হয়।মোদি একদিকে প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি।মোদি-শাহ প্রবল পরাক্রম আর দাপটে দেশ চালাতে থাকেন।প্রথম প্রথম আরএসএস এতে হস্তক্ষেপ করলেও মোদি-শাহের প্রবল বিক্রমে আরএসএস তাতে ধীরে ধীরে পিছু হঠতে থাকে।দশ বছর পর যখন বিজেপির একাধিপত্য প্রায় কমতে বসেছে সে সময়ই ফের সংঘের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার সংঘ সক্রিয় হতেই বিজেপিও কিছুটা পিছু হঠতে থাকে।তাই বহুদিন পর এবার সংঘ-বিজেপি বৈঠকও হল। উপরন্তু এবার বিজেপি সভাপতি নির্বাচনও রয়েছে। বর্তমানের বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার মেয়াদকাল ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। তিনি এক্সটেনশনে রয়েছেন বর্তমানে। তাই তাকে এবার বুদ্ধি করে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসেছেন মোদি। এবার তাই মনে করা হচ্ছে নাড্ডার পর সংঘ ঘনিষ্ঠ কোনও নেতা বিজেপির সভাপতি হতে যাচ্ছেন এবং এতে সংঘ যে পুরো কলকাঠি নাড়বে তা পরিষ্কার।
অন্যদিকে,লোকসভা ভোটে বিজেপি একটা ধাক্কা খাওয়ার পর আগামী কিছুদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। এই চার রাজ্যের গ্রাউন্ড রিপোর্টও বিজেপির জন্য ভালো নয়। তাই বিজেপিকে এখন সংঘের দরকার।বিশেষ করে বড় রাজ্য মহারাষ্ট্রেই রয়েছে সংঘের প্রধান কার্যালয়।মহারাষ্ট্রে বিজেপির অবস্থা শোচনীয়।মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে সংঘের সহযোগিতা দরকার।দেরিতে হলেও বিজেপি সেটা বুঝতে পেরেছে।তাই বিজেপি-সংঘ নৈকট্য বাড়ছে।বিজেপি সংঘের এই কাছাকাছি আসা এরপরও কতটা কী প্রভাব ফেলবে তা ভবিষ্যৎই বলবে। আপাতত বিজেপির জন্য এছাড়া আর কোনও গত্যন্তর নেই।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…