অনলাইন প্রতিনিধি :- এমনিতে বরাবরের মতোই মেধাবী ছাত্র সৌম্যজিৎ সাহা। শৈশবে রাজধানীর উমাকান্ত ইংরেজি মাধ্যম থেকে অক্ষরজ্ঞান শুরু করা ছিপছিপে ছেলেটা এখন ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণীর ছাত্র। বাড়ি৯ বনমালীপুরের দিঘির পাড় এলাকার। সম্প্রতি চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণ দেখতে ইসরোর হেডকোয়ার্টার বেঙ্গালুরুতে ডাক পায় খুদে এই কৃতী। কথা হয়েছে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সাথেও।এরপরই বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন যেন আরও বেশি করেই চেপে বসে তার মাথায়। স্কুলে ‘সেরার সেরা’র শিরোপা না পেলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত সৌম্যজিৎ। সে জানায় তাকে স্কুল থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারাই প্রথমদিকে উৎসাহিত করে ইসরোর একটি কর্মশালায় অংশ নিতে। সেই অনুযায়ী গত মে মাসের গোড়ার দিকে শিলংয়ের এনইএসএসিতে টানা দুই সপ্তাহের একটি কর্মশালায় যোগ দেয় সে। সাথে রাজ্যের আরও অন্তত নয় জন কৃতী। ‘যুভিকা’ নামক এই কর্মশালায় এছাড়াও দেশের মোট ২৮টি রাজ্য থেকে তিন শতাধিক কৃতী অংশ নেয়। কৃতী সৌম্যজিৎ এখানেই থেমে থাকেনি। ‘যুভিকা’ কর্মশালার ঠিক দুই মাস আগে গত জুলাই মাসে কেরালার ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যাও টেকনোলজিতেও ‘অনভিকা’ আয়োজিত আরও এক কর্মশালায় নিজের প্রতিভাকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় সে। এতে গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অর্ধ শতাধিক কৃতী অংশ নেয়। সৌম্যজিৎ জানায়, দুটি কর্মশালা ছাড়াও তার ঝুলিতে থাকা অল ইণ্ডিয়া অলিম্পিয়াডের স্বর্ণপদক, কংফুতে ২০১৯ সালের জাতীয় সাব জুনিয়রের মতো স্বর্ণপদকগুলি তাকে ইসরোর হেড কোয়ার্টারে পা রাখতে রসদ জুগিয়েছে। গত ২৩ আগষ্ট চাঁদের মাটিতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩। ২৪ আগষ্ট ইসরো কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সৌম্যজিৎ তার অভিভাবকদের নিয়ে পৌঁছায় বেঙ্গালুরুর ইসরো হেডকোয়ার্টারে। এরপরই সেখানে ২৫ এবং ২৬ আগষ্ট টানা দুদিনব্যাপী কৃতী সৌম্যজিৎকে দেখানো হয় চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ সহ গোটা প্রক্রিয়া। দেখানো হয় কী ধরনের সফটওয়ার কিংবা হার্ডওয়ারের সাহায্য নিয়েছে তারা। এছাড়াও এমন বহু খুঁটিনাটি। এমনকী দুদিনের এই আয়োজনে বিজ্ঞানীদের অনেকেই খুদে বিজ্ঞানীদের নানা কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর দেন। একই সাথে উৎসাহিতও করেন তাদের। কথাপ্রসঙ্গে শুক্রবার সৌম্যজিৎ জানায়, “ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন কোনও পরিকল্পনাই ছিলো না। এর আগে। তবে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সাথে কথা বলার পর তিনি আমাকে ঢের উৎসাহিত করেছেন। আমিও সেই অনুযায়ী স্বপ্ন বুনতে শুরু করলাম।” বাবা গোপাল চন্দ্র সাহা এবং মা বহ্নিশিকা সাহাও ছেলের স্বপ্ন পূরণে খামতি রাখতে চান না কোনও কিছুতেই। মা বললেন, “সবে তো স্বপ্ন দেখার শুরু। মাঝখানে আরও অনেকটাই পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। তবে স্বপ্ন যদি সত্যি হয়, তবে কতোই না ভালো লাগবে আমাদেরও!”
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রথমদিনের মতোই উড়ান আয়োজিত ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয়দিনও ছিল শ্রোতা ও দর্শকে পরিপূর্ণ। সাহিত্য,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শনিবার আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়া প্রদেশের ইয়র্ক কাউন্টির ‘ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ নামে ওই হাসপাতালে ঢুকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা-গুয়াহাটি-আগরতলার মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এই মন্তব্য করেন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২৪ ঘণ্টা ধরে তেলঙ্গানার শ্রীসৈলাম সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছেন আট শ্রমিক। কাদাজলে ভরে গিয়েছে…
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণতান্ত্রিক রায়ের দুই লাইনের এক মন্তব্যে, শুরু হয়েছে।পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার দুর্নীতির আখড়া হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।দুর্নীতির…