বিতর্কের মধ্যেই আজ সংসদ ভবন উদ্বোধন।।।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

সংসদ ভবনের উদ্বোধনের আগেই সংঘাত আরও তীব্র। নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে একসঙ্গে ১১ জন মুখ্যমন্ত্রী গরহাজির হলেন। তাদের মধ্যে সিংহভাগই বলেছেন, যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ মনোভাব এবং স্বৈরতন্ত্রী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কে চন্দ্রশেখর রাও থেকে পিনারাই বিজয়ন।অশোক গেহলট অথবা নীতীশ কুমার। এম কে স্টালিন থেকে ভগবন্ত সিং মান। এমনকি বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়ক পর্যন্ত আসেননি নীতি আয়োগের এই বৈঠকে। শনিবার এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। বিকাশিত ভারত ২০৪৭ সালের লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি আগামী ২৫ বছর ধরে কী কী উন্নয়নের রূপরেখা নির্মাণ করবে, সেটাই এই বৈঠকে আলোচনা হয়।কিন্তু বিষয়বস্তুর তুলনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরই চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে। কারণ, একসঙ্গে ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।যদিও নবীন পট্টনায়ক বৈঠক বয়কট করেছেন এমন বলেননি। আবার এম কে স্ট্যালিন বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তবে কেজরিওয়াল থেকে কে চন্দ্রশেখর রাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা নীতীশ কুমাররা জানিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্র যেভাবে রাজ্যগুলির অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে এবং লাগাতার রাজ্যকে পাওনা অর্থ থেকে বঞ্চিত করছে, সেটার প্রতিবাদ কখনও নীতি আয়োগের তরফে করা হয়নি। নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনে লাভ নেই। তাই তারা এই বৈঠক বয়কট করেছেন।এদিকে শনিবার বয়কটের পর আবার রবিবার সংসদ ভবনের উদ্বোধন পর্বও বয়কট করবে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে ২১টি দল একসঙ্গে বয়কট করছে সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতিকে এই উদ্বোধনের শামিল করা হয়নি কেন, এই প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের প্রতিবাদ। শনিবার সরকারপক্ষ বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, এভাবে বয়কট করে আদতে সংবিধান ও গণতন্ত্রকে অসম্মান করা। কারণ সংসদ কোনও দলের নয়।সংসদ সংবিধানের দিশা নির্দেশের সর্বোচ্চ মঞ্চ। তাই এই মঞ্চকেই বয়কট করার অর্থ সংবিধানকে উপেক্ষা করা। আবার নীতি আয়োগের বয়কট করার অর্থ দেশের উন্নয়নে বিরোধীরা চাইছে না নিজেদের অবদান রাখতে। আর তাই এভাবে নিজেদের রাজ্যকেই বঞ্চনার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যেভাবে বিরোধীরা হতাশ হয়ে যাচ্ছে যে, ভারতের উন্নয়নে তাদের কোনও ভূমিকা নেই এটা দেখে। মোদি সরকার দেশকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির।পাল্টা বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছে, কর্ণাটকের ফলাফল সেই উন্নতিরও প্রতিফলন।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

শুরু হলো পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এপ্রিল মাসের শেষে…

8 hours ago

টিএমসি কাণ্ড, ঋণ নিয়েছিলেন অধ্যাপিকা!তদন্ত চলছে, কাউকে ছাড়া হবে না বিধানসভায় কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেবার নাম করে ডা. সোমা চৌধুরী নামে…

8 hours ago

নিজেদের অধিকার রক্ষায় বৈঠকে যাচ্ছে টিএফএর আজীবন সদস্যরা।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিএফএর সংবিধান সংশোধন করার নামে নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার…

9 hours ago

এডিসির ৩০২ স্কুলে ১ জন করে শিক্ষক, ছাত্র সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিক, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির ৩০২ টি স্কুলে শিক্ষক ১ রয়েছে।জাতীয় স্তরে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র- শিক্ষকের অনুপাত…

9 hours ago

কাজ করেনি,ফেরত গেছে ২২.৯১ কোটি টাকা,বাম আমলে অন্ধকারে ডুবে ছিল রাজ্যের পর্যটন: সুশান্ত।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কোনও উন্নয়নই হয়নি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে…

9 hours ago

জাল ওষুধের রমরমা।

একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…

10 hours ago