বিদেশিহীন শিল্ড : মাঠে দর্শক টানতে পারবে তো?
পিটার, এরন, থিওরা এখন অতীত। তার পরও আগরতলায় বিদেশিদের দাপাদাপি গত বছরও ময়দানের আকর্ষণ ছিল। বিদেশি ফুটবলার হীন এবারের রাখাল শিল্ড নকআউট ফুটবল মাঠে দর্শক টানতে পারবে তো? রবিবার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে শিল্ডের উদ্বোধনী ম্যাচ (বীরেন্দ্র বনাম জুয়েলস) শেষে লাখ টাকা দামি এই প্রশ্নটা কিন্তু উঠেই গেল। তাছাড়া এদিন উদ্বোধনী ম্যাচ ফেরত দর্শকদের একটা বড় অংশের মুখেও ওই রকম আশঙ্কাটাই বারবার শোনা গেলো। মাঠ ফেরত দর্শকদের বক্তব্য, দেখুন দেখার মত গোল, দেখার মত কিক, গোলমুখী একটা দুর্ধর্ষ মাঠ, কিংবা বিপক্ষ গোল রক্ষককে গোল পোস্টের নিচে দাঁড় করিয়ে নড়বার এতটুকু সুযোগ না দিয়ে জাল নাড়ানোর দৃশ্য দেখতেই তো আমরা মাঠে ছুটে আসি। কিন্তু আজ উদ্বোধনী ম্যাচ জুয়েলসের লাল নুন তুলুঙ্গা গোলটি ছাড়া আর দেখার মত গোল কোথায়? ম্যাচে চারটি গোল হলো ঠিকই, একটাই কিছুটা পয়সার উসুল হলো। তবে বিদেশি হীন সিনিয়র ফুটবলের সেই উন্মাদনার ছিটেফোঁটা আজ দেখা গেলো না। ১২০ মিনিটের পর টাই ব্রেকারে জুয়েলসকে পরাস্ত করে বীরেন্দ্র ক্লাব সেমিফাইনালে গেলো ঠিক কিন্তু কোনও দলই ফুটবল পাগল দর্শকদের মনের খোড়াক দিতে পারল কোথায়? অথচ ফুটবলে আসল হলো গোল।কিন্তু যারা গোল করবে সেই স্ট্রাইকারদেরই চোখে পড়ল না। অথচ বিদেশিরা (স্ট্রাইকার) না থাকায় স্থানীয় বা বহি:রাজ্যের স্ট্রাইকারদের সামনে একটা দারুণ সুযোগ এবার রাখাল শিল্ড। কিন্তু তেমন কাউকে তো আজকের ম্যাচে দেখাই গেলো না। তবে দর্শকদের মতে এই মানের ফুটবল যদি শিল্ডে দেখতে হয় তাহলে আর মাঠে আসার ইচ্ছাই থাকবে না। এমনও বলে গেলেন কেউ কেউ। অথচ উমাকান্ত মাঠে সিনিয়র ফুটবল মানেই বিদেশি ফুটবলারদের পাওয়ার ফুটবল। বিপক্ষ ডিফেন্স লাইন ভেঙে বক্সে ঢুকে অনবদ্য শটে গোল করা। কিংবা সতীর্থ ফুটবলারকে একটা অসাধারণ ক্রস বা পাস দিয়ে গোল করানো ময়দানে আর দেখা যাবে তো? যতদূর খবর এবার কোন ক্লাবই বিদেশি ফুটবলার আনছে না ।