বিদেশি নেই, লীগের মতই নকআউটও আকর্ষণ হারাচ্ছে!
অনলাইন প্রতিনিধি :- সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) স্থানীয় লীগে বিদেশি ফুটবলার খেলানো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে আগরতলা ক্লাব লীগের পাশাপাশি শিল্ডের উপরেও কি এর বড় সড় প্রভাব পড়তে চলেছে? কারণ রাজ্যের প্রাক্তন থেকে বর্তমান ফুটবলাররা অনেকেই আশঙ্কা করছেন ফেডারেশনের এই ধরনের সিদ্ধান্তের পর বিদেশি প্লেয়ার না খেলার ফলে আগরতলা ক্লাব লীগের সাথে শিল্ডের আকর্ষণও অনেকটাই কমতে পারে। কারণ শিল্ড এবং লীগের মধো বড় টুর্নামেন্টে বিদেশি প্লেয়ারই মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।বিদেশি প্লেয়ার ছাড়া কোন টিম পরিপূর্ণতা পায় না বলেই ধারণা অনেকের। এতে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি সংখ্যা আগের তুলনায় এখন অনেকটাই কমতে পারে বলেও বক্তব্য অনেকেরই। বিদেশি প্লেয়ার না থাকার অভাব শুধু মাঠর বাইরে গ্যালারিতেই নয়, টিমগুলোর উপরও এর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেও ধারণা অনেকের। কারণ ১/২ জন বিদেশি প্লেয়ার থাকা টিমগুলোর শক্তি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে স্ট্রাইকার নিয়ে ক্লাব দলগুলোকে বরাবরই সমস্যায় পড়তে হয়। সামনে দু’জন বিদেশি স্ট্রাইকার খেলানো গেলে টিমের স্ট্যান্ডার্ড অনেকটাই বেড়ে যায়।গোল পেতেও তেমন সমস্যা হয় না। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন যে বিদেশি প্লেয়ার না খেলানো গেলে শিল্ড ও লীগ উভয় ক্ষেত্রেই গোলের সংখ্যা এবার অনেকটাই কমতে পারে। তবে এর মধ্যে আবারও অনেকের বক্তব্য যে বিদেশি প্লেয়ার ছাড়া টিমগুলোকে সমস্যায় পড়তে হবে ঠিক কিন্তু এতে দেশীয় ফুটবলাররা উঠে আসার ভালো সুযোগ পাবে। লাভবান হবে এতে স্থানীয় ফুটবলাররা। বিশেষ করে স্ট্রাইকার তৈরি হবে। তাতে আগামী দিনে বিদেশি প্লেয়ারের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না বিভিন্ন ক্লাব দলগুলোকে, এই ধরনের যুক্তিও খাড়া করছেন অনেকেই। তবে ফুটবলে লালালাভ যাই হোক, আপাতত যা খবর বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবার কিন্তু রাখাল শিল্ডে কোন টিমেই বিদেশি প্লেয়ার খেলছে না। এই সম্পর্কে অনেক ক্লাব দলের বক্তব্য, যে লীগে যেহেতু বিদেশি প্লেয়ার খেলানো সম্ভব নয়, তাই শিল্ডে আনার কোন মানে নেই।কারণ শিল্ডে নকআউট ভিত্তিতে খেলা হয়। এখানে প্রথম ম্যাচে হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। ফলে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিদেশি প্লেয়ার আনার কোন যুক্তি নেই। তবে বিদেশি প্লেয়ার না থাকাটা শিল্ড এবং লীগ দুটো ক্ষেত্রেই আকর্ষণ যে অনেকটা কমতে চলছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।