দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। অভিযোগ, গতকয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে কম্পিউটার শিক্ষা। এর ফলে গরিব ঘরের ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগে ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারীভাবে একাংশ বিদ্যালয়ে সরকারী কোষাগার ফাঁকা করে কম্পিউটার দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে সে সমস্ত কম্পিউটার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কোনও কাজে আসছে না কম্পিউটার। জানা গেছে, কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের ভার আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উপর ন্যাস্ত ছিল। সারা রাজ্যে প্রায় আটশ কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে সমস্যা শুরু হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটার শিক্ষকরা রাজধানী আগরতলায় অনশনও শুরু করেছিল কিন্তু লাভ হয়নি। সর্বভারতীয় শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে রাজ্যে ২০০৮ সালে প্রথমে ১৫০টি এবং পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে ২০০টি এবং ২০১৩ সালে পঞ্চাশটি বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা হয়েছিল।
যতটুকু খবর প্রায় সারা রাজ্যে চারশটির মতো বিদ্যালয়ে চালু ছিল এই শিক্ষা ব্যবস্থা। ওই সময় বিশেষ করে মহকুমা এলাকা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের গরিব ঘরের ছাত্রছাত্রীদেরও উপকারে এসেছিল কম্পিউটার শিক্ষা কিন্তু ধীরে ধীরে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পরলেও পুনরায় বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার কোনও উদ্যোগ নেই সরকারের। এই অভিযোগ অভিভাবক মহলের বর্তমান ডিজিটালের যুগে কম্পিউটার ছাড়া কোনও কাজেই করা প্রায় অসম্ভব।কিন্তু কচিকাঁচারা সেই কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়েছে বলে দাবি করলে ও এই সরকারের প্রথম পাঁচ বছর কেটে যাওয়া পরে ও কিন্তু বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষার চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। সরকার বিদ্যাজ্যোতি স্কুল চালু করে সেই বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে উন্নয়নের জন্য টাকা আদায় করা হলেও একাংশ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে নেই কম্পিউটার ও কম্পিউটার শিক্ষক। ফলে সে সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাম জমানা থেকে কম্পিউটার ফ্যাকাল্টিরা আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কিন্তু সে সমস্ত ফ্যাকাল্টিদের অধিকাংশ এখনও কর্মহীন। জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে একটি এনজিওর মাধ্যমে বর্তমান সরকার বাছাইকৃত কিছু বিদ্যালয়ে কিছু কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করলেও গ্রামীণ এবং শহরতলির অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কিন্তু নেই কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা। আগে বিনা পয়সায় শহরের সাথে সাথে গ্রামেগঞ্জের স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকার ফলে গরিব ঘরের ছেলে মেয়েদেরও কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি ঝোঁক বেড়েছিল।
কিন্তু বর্তমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগেও কিন্তু কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রী।রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারীভাবে কম্পিউটার সেন্টার গড়ে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু সেই সমস্ত বেসরকারী সেন্টারগুলিতে স্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা মোটামাইনের বিনিময়ে শিক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু গ্রামগঞ্জের গরিব মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা টাকার অভাবে বেসরকারী সেন্টারে গিয়ে শিক্ষা নিতে পারছে না। এমন একাংশ স্কুল রয়েছে যে সমস্ত বিদ্যালয়ের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা ১০০ শতাংশ পাস করে চলছে। কিন্তু সে সমস্ত বিদ্যালয়ের নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরও এখনও কম্পিউটারে হাতে খড়িপড়েনি। একদিকে যেমন কর্মহীন কম্পিউটার ফ্যাকাল্টিদের একাংশ হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তেমনি ছাত্রছাত্রীরাও কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকরা রাজ্যের যে সমস্ত বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু নেই সেই সমস্ত বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান !
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…