অনলাইন প্রতিনিধি :-বুধবার দুপুরে হঠাৎ খোয়াই জিলা পরিষদের সভানেত্রী অপর্ণা সিংহ রায় সদলবলে ক্যামেরাম্যান নিয়ে খোয়াই বিদ্যুৎ নিগমের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।পরে তার ঝটিকা সফরের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেন। এতে সাধারণ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কল সেন্টারে তিনজন কর্মী বসে রয়েছেন।এর মধ্যে এক বয়স্ক কর্মী টেবিলে মাথা দিয়ে বসা।জনপ্রতিনিধি এই বয়স্ক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, ঘুম পেয়েছে?তাহলে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যান আর অসুস্থ হলে চলুন ডাক্তার দেখাবেন। উত্তরে বয়স্ক লোকটি জানাচ্ছেন,শরীরটা খারাপ লাগছে তাই তিনি টেবিলে মাথা রেখে বসেছেন। গ্রাহকের কোন ফোন এলে তিনি রিসিভ করার কাজ করেন।সম্প্রতি বয়স্ক লোকটি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ছিলেন অফিসের নাইট গার্ড। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে নিগমের আধিকারিক কল সেন্টারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এর পরই জনপ্রতিনিধি অন ক্যামেরা সোজা ঢুকে ‘যাচ্ছেন নিগমের সিনিয়র ম্যানেজার নীহার দেববর্মার চেম্বারে। জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করছেন,বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যা।সরকার চাইছে জনগণকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কিন্তু আপনারা সেই পরিষেবা দিচ্ছেন না। আধিকারিক প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করছেন কিন্তু জনপ্রতিনিধি সেই সুযোগ দিচ্ছেন না, পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন একের পর এক।
অনেক পরে বিদ্যুৎ নিগমের খোয়াই সাবডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার নীহার দেববর্মা কথা বলার সুযোগ পান এবং দায়িত্ব, কাজকর্ম এবং পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য তুলে ধরেন। জনপ্রতিনিধি পুরো ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে বলতে চাইছেন, সরকার জনগণের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আন্তরিক কিন্তু কিছু কিছু সরকারী আধিকারিক জনগণকে পরিষেবা দিচ্ছে না।ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর অনেকেই সরকারের সমালোচনায়
মুখর হয়েছেন।জনপ্রতিনিধির এই কাজটি হিতে বিপরীতই হতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ’ নিগমের যে পরিকাঠামোজনিত দুর্বলতা গোটা মহকুমা জুড়ে চলছে তার কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি গত ছয় বছরে।একটি সাবডিভিশন চালাতে ন্যূনতম যে কর্মচারী, লাইনম্যান, ইঞ্জিনীয়ার, টেকনিশিয়ান, শ্রমিক এবং যানবাহন ও যন্ত্রাংশ প্রয়োজন তার কতটা কী রয়েছে সেই খবর কোন জনপ্রতিনিধিই রাখেন না। জানতেও চান না। জনপ্রতিনিধিদের দাবি,যে করেই হোক পরিষেবা দিতে হবে।জোড়াতালির মাধ্যমে চালানো হচ্ছে খোয়াই মহকুমার একাধিক ফিডার। বিদ্যুৎ পরিষেবার আধুনিকীকরণের জন্য বামেদের আমলে একবার আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন পাতা হয়েছিল শহরের একাংশে।এরপর আর আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন পাতা হয়নি।মহকুমায় বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে যে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর প্রয়োজন,সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্য কোন জনপ্রতিনিধির উদ্যোগ না থাকলেও কৈফিয়ত তারা সবসময়েই চান।বিদ্যুৎ পরিষেবার আধুনিকীকরণ যে জরুরি তা বহুবার সংবাদ হিসাবে পরিবেশিত হয়েছিল তথ্যনিষ্ঠভাবে।বিদ্যুৎ নিগম স্বল্পসংখ্যক কর্মী দিয়ে কুড়ি হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে আসছে জোড়াতালির মাধ্যমে। সত্তরের দশকে খোয়াই ধলাবিল ১৩২ কেভি সাবস্টেশন থেকে যে ভাবে চা বাগান হয়ে বৈদ্যুতিক লাইন পাতা হয়েছিল সেই জংধরা লাইন দিয়ে আজও চলছে পরিষেবা।
অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তপ্ত মণিপুরের অশান্তির আঁচ এবার পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত।মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর এবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বেআইনিভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রেন, বিমানের পর এবার দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্করিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াই উড়িয়ে দেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। মন্ত্রীর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানির দৌলতে, গণ্ডাছড়া,…
আমেরিকায় পালাবদলের পর বিশ্বের অশান্ত এলাকাগুলিতে,যুদ্ধবিধ্বস্ত সকল অঞ্চলে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হইয়াছে। বিশেষত দুইটি যুদ্ধ…
অনলাইন প্রতিনিধি :- জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নয়ে নীর, হায়…