বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় রাজ্যবাসী হেলদোল নেই সরকারের!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিদ্যুৎ
যন্ত্রণায় নাজেহাল ও অতিষ্ঠ গোটা রাজ্যবাসী।খোদ রাজধানীতেই পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।গ্রাম পাহাড়ে চলছে অবনীয় বিদ্যুৎ যন্ত্রণা।এটি এক দুই দিনের পরিস্থিতি নয় নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিদ্যুৎ পরিস্থিতি দিন দিন এতটাই বেহাল হয়ে পড়েছে যে রাজ্যবাসী আর বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিদ্যুৎ নিগমের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। রাজ্যে বর্তমানে আদৌ বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিদ্যুৎ নিগমের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যবাসী।প্রশ্ন তুলছেন রাজ্য সরকারের অস্তিত্ব নিয়েও।পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ও বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে যে বিদ্যুৎ যন্ত্রণা নিয়ে অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগও পাচ্ছেন না মানুষ।বিদ্যুৎ নিগম বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য বেসরকারী সংস্থার হাতে দায়িত্ব দিয়ে কাস্টমার কেয়ার
সার্ভিস নামে ১৯১২ নম্বর চালু করলেও জরুরি প্রয়োজনে ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করে ১৯১২ নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।স্থানীয় বিদ্যুৎ নিগমের অফিসেও সরাসরি অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা নেই।ভাগ্যক্রমে ১৯১২ নম্বরে সংযোগ পেয়ে অভিযোগ জানালেও খোদ রাজধানী শহরেই সময় মতো বিদ্যুৎ সারাইয়ে টিমের দেখা মিলছে না।গ্রাম পাহাড়ে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কবে পুনরায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।কখনো এক সপ্তাহ, কখনো এক পক্ষকালও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে মানুষকে।বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই চালু করা যায় না পানীয় জলের পাম্প।দেখা দেয় পানীয় জলের সমস্যা।সবচেয়ে
বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়
হাসপাতালগুলিকে। জলের সংকটে শৌচালয় ব্যবহারেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী থেকে রোগীর পরিবার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।মানুষের বাড়িঘরেও দেখা দেয় একই সমস্যা।সব মিলিয়ে বিদ্যুতের বেহাল অবস্থায় নাজেহাল হতে হচ্ছে গোটা রাজ্যবাসীকে।
এদিকে সম্প্রতি আগরতলা শহরেও বিদ্যুৎ পরিষেবা ভেঙে পড়েছে।ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। আবার এই আসছে- এই যাচ্ছে অবস্থা বিদ্যুতের। কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর বিদ্যুতের দেখা মিললেও থাকছে লো ভল্টেজ।এতে মানুষের মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছে।সব মিলিয়ে এক চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যবাসী।দিন দিন বিদ্যুতের অবস্থা বেহাল থেকে বেহালতম হয়ে পড়লেও পরিষেবার উন্নয়নে বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে বিদ্যুৎ নিগমের কর্তাদের কোনও হেলদোল দেখতে পারছেন না রাজ্যবাসী।এমনকী রাজ্য সরকারেরও কোন হেলদোল দেখতে পাচ্ছে না রাজ্যবাসী। উল্টো নিজেদের দুর্বলতা ও অকর্মণ্যতা ঢাকতে নানা ফন্দি বের করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিদ্যুৎ নিগম।বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়া, মানুষের এসি মেশিনের ব্যবহারকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যস্ত থাকছে বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিদ্যুৎ নিগম।অথচ, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ নিগমে নিয়মিত লাইন ম্যান, হেল্পার থেকে শুরু করে ইঞ্জিনীয়ার নিয়োগের উদ্যোগ নেই। বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল অবস্থার কারণে রাজ্যব্যাপী সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও অসন্তোষ চরমে উঠেছে।
যার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে মানুষ প্রায়ই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ করেছেন, বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে তালা ঝোলাচ্ছেন, বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের উপর চড়াও হচ্ছেন। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন মানুষ।

Dainik Digital

Recent Posts

খুশির ঈদ উদযাপন

অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…

11 hours ago

সাব ইনস্পেক্টর অব এক্সাইজ নিয়োগে, সরকারের নিয়োগনীতি কার্যকর করছে না টিপিএসসি, ক্ষুব্ধ বেকাররা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে নতুন নিয়োগনীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারের…

11 hours ago

কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও,হাসপাতালে জনঔষধির সস্তা ওষুধ সংকটে রোগীরা বঞ্চিত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সস্তায় ভালো গুণমানসম্পন্ন জনঔষধি তথা জেনারিক মেডিসিন…

11 hours ago

শান্তিরবাজারে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন জগন্নাথ পাড়া!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শান্তিরবাজারে সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো জগন্নাথপাড়া প্লে সেন্টার টিম। রবিবার বাইখোড়া ইংলিশ…

12 hours ago

বামফ্রন্টের রেখে যাওয়া ১২,৯০৩ কোটি সহ,রাজ্যে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ ২১,৮৭৮ কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৮৭৮ কোটি…

12 hours ago

ক্রাইম ব্রাঞ্চের শক্তিবৃদ্ধিতে গুচ্ছ পদক্ষেপ : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের…

13 hours ago