বিধানসভার, টুকিটাকি?

 বিধানসভার, টুকিটাকি?
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বিধানসভায় ১০,৩২৩:- ‘১০,৩২৩-এর কথা আর বলে লাভ নেই।এই ইস্যুতে বারবার কথা বলে কোনও লাভ হবে না। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে আপনাদের কোনও কথা বলার রাইট নেই। আপনাদের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে’। বুধবার বিধানসভায় সিপিএম সদস্যদের উদ্দেশ্য করে একথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।এই প্রসঙ্গে এদিন সিপিএম বিধায়ক সুদীপ সরকার জানতে চান, গত ১১জানুয়ারী সরকার একটি তিন সদস্যের অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করেছিল।সেই কমিটির রিপোর্টের কী হল?বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মাও জানতে চান ১০,৩২৩কে পুনরায় চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না?এ নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অনেকেই বেশ কিছুক্ষণ হৈচৈ করেন।জবাবে মুখ্যমন্ত্রী একথাগুলি বলেন।
দুটো পৃথক জিনিস:- ‘শিক্ষার অধিকার আইন’ এবং ‘নয়া শিক্ষানীতি ২০২০’ দুটো এক জিনিস নয়। দুটো পৃথক বিষয়। আপনিতো আমার থেকে শিক্ষিত মানুষ। আপনি এটা বোঝেন না। “শিক্ষার অধিকার আইন’ আপনাকে মানতেই হবে। ‘নয়া শিক্ষানীতি আপনি নাও মানতে পারেন। দুটোকে গুলিয়ে ফেলে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। বুধবার বিধানসভায় বক্তা পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ। এদিন বিধানসভায় শিক্ষা বিষয়ক উত্থাপিত প্রশ্নে বক্তব্য রাখার সময় সিপিএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী সরকারের সমালোচনা করছিলেন।জবাবে মন্ত্রী রতনলাল নাথ জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলি বলেন।
রতনে আটক:- “রতনবাবু কিছু বললেই দেখি জিতেন্দ্রবাবু আটকে যাচ্ছেন। কেন এমনটা হচ্ছে বুঝতে পারছি না’। বুধবার বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তি করেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। চলতি বিধানসভায় বারবারই দেখা গেছে জিতেন্দ্র-রতনের জোর বিতর্ক। এই পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের এই উক্তি।
ওভার বার্ডেন:- “আমাকে দেখে কি তাই মনে হয়? আপনার বক্তব্যে আমি অসন্তুষ্ট হইনি। বরং আপনাকে খুশি করার জন্য একথা বলেছি’। বুধবার কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায় শিক্ষা বিষয়ক বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেন। শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের জবাবও দেন। কিন্তু বিধায়ক গোপাল রায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।তিনি আচমকাই উক্তি করেন ‘মুখ্যমন্ত্রীর উপরতো ওভার বার্ডেন। তিনি নিজেই ২৭টি দপ্তর নিয়ে রেখেছেন’। গোপালবাবুর এই উক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন ‘আমাকে দেখে কি আপনার তাই মনে হয়’? গোপালবাবু বলেন, “আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন’? মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘আমি মোটেও অসন্তুষ্ট নই।
এসটিজিটি:- এসটিজিটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে,এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।তাই এসটিজিসি নিয়োগ করা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে মামলার নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত ফলাফলও প্রকাশ করা যাবে না। বুধবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
সভায় বিপ্লব:- বুধবার বিধানসভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সিপিএম বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছিলেন। আলোচনাকালে তিনি একসময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বলেন, বিপ্লববাবু তো দশ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায়?অমনি ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় সহ আরও কয়েকজন চিৎকার করে বলেন, বিপ্লব দেব রাজ্যসভায় আছেন, , আপনি জানেন না’?
অহঙ্কারী সিপিএম:- এডিসি থেকে শুরু করে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। সবগুলিতে পরাজয়ের পরও মানতে পারছেন না আপনারা হেরেছেন’। আপনাদের অহঙ্কার কিন্তু একফোঁটাও কমেনি। বুধবার বিধানসভায় সিপিএম সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উক্তি শাসকদলের বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমার।
সবদিকে মন:- গোপালবাবু আপনি সবদিকে মন দেবেন না। কে কী বলছে সব কথা কানে তুলবেন না”। বুধবার বিধানসভায় উক্তি অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের। পাল্টা গোপালবাবু অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি কন্ট্রোল করতে পারছেন না, তাই নজর দিতে হচ্ছে’।
নিজের প্রতি সম্মান:- বাজেট নিয়ে আলোচনা করছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়। অধ্যক্ষ বারবার গোপালবাবুকে শেষ করতে বলছিলেন। কিন্তু গোপালবাবুর থামার কোনও লক্ষণ না দেখে অধ্যক্ষ বলেন, গোপালবাবু আপনি সিনিয়র। নিজের প্রতি সম্মান করুন। পাল্টা গোপালবাবু অধ্যক্ষকে বলেন, স্যার আপনার থাকলে আমারও থাকবে। আমাকে সময় দেওয়ার জন্য এবং একই সাথে ডিস্ট্রাব করার জন্য ধন্যবাদ ।
টিসু পেপার:- নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করছিলেন সিপিএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী। আচমকা ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে সংসদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ জিতেন্দ্রবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘Past is waste paper, present is news paper,Fu ture is question paper. Do public service carefully, therewise your life will tissue paper’
নজর কাড়লেন:- বুধবার বিধানসভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনায় স্কলের নজর কাড়লেন তিন দলের তিন নতুন বিধায়ক। এরা হলেন সিপিএমের বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিজেপির বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার এবং তিপ্ৰা মথা বিধায়ক পল দাংশু। নজর কেড়েছেন মাতাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেব রায়ও।
বিস্ফোরক শুক্লাচরণ:-
বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন থেকে আড়াই দিন সভায় চুপচাপই ছিলেন আইপিএফটি বিধায়ক-মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। কিন্তু বুধবার অধিবেশনের দ্বিতীয় বেলায় যেন তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। এদিন বিধানসভায় দ্বিতীয় বেলায় বাজেটের সমালোচনা করে এবং গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড কেন চায় –এর যুক্তি উত্থাপন করে বক্তব্য রাখছিলেন তিপ্পা মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। আচমকা শুক্লাচরণ দাঁড়িয়ে এমনভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং রঞ্জিত দেববর্মাকে পাল্টা চেপে ধরেন। তা দেখে সকলেই অবাক। প্রায় মিনিট পাঁচেক দুজনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ চলে। শুক্লাচরণের সাথে তখন ট্রেজারি বেঞ্চের অনেকেই গলা মিলিয়েছেন।শেষপর্যন্ত পেছন থেকে বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং এসে শুক্লাচরণকে চেপে বসান ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.