অনলাইন প্রতিনিধি :-বিধানসভায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে রাজ্যে বিভিন্ন মামলায় সাজার হার তলানিতে এসে ঠেকেছে।গত শুক্রবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মার উত্থাপিত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আইন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী যে লিখিত তথ্য দিয়েছেন, তা কিন্তু মোটেই সুখকর নয়।বিরোধী নেতা শ্রী দেববর্মা জানতে চেয়েছেন যে, দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে রাজ্যের বিভিন্ন আদালত গুলিতে কতগুলি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং এর মধ্যে কয়টি মামলায় অভিযুক্তদের সাজা হয়েছে এবং কয়টি মামলায় অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়েছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন,তাতে চোখ একেবারে কপালে উঠার মতো।২০২২ এবং ২০২৩ এই দুই বছরে রাজ্যে আটটি জেলার মধ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত মাত্র দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।এর মধ্যে একটি মামলায় অভিযুক্তের শাস্তি হয়েছে।অপর একটি মামলায় অভিযুক্ত খালাস (মুক্তি) পেয়ে গেছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিম জেলায় ২০২২ সালে একটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং উক্ত মামলায় অভিযুক্তের সাজা হয়েছে।পশ্চিম জেলায় ২০২৩ সালে একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি।গোমতী জেলায় ২০২২ সালে একটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।ওই মামলায় অভিযুক্ত খালাস পেয়ে গেছে।জেলায় ২০২৩ সালে একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি।তেমনি ছয়টি জেলাতে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি।এদিন বিধানসভায় অপর একটি প্রশ্নে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ জানতে চেয়েছেন,আইপিসি ধারা অনুযায়ী নথিভুক্ত মামলাগুলিতে গত তিনটি অর্থবছরে রাজ্যে সাজার হাজার কত?জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,২০২১ সালে রাজ্যে নথিভুক্ত মামলায় সংখ্যা ৬৪০৭ টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলায় সংখ্যা ৪০৪৫ টি, সাজা হওয়া মামলার সংখ্যা ১৮২ টি।তার মধ্যে নথিভুক্ত মামলায় নিরিখে সাজার হার ২.৮৪ শতাংশ এবং নিষ্পত্তিকৃত মামলার নিরিখে সাজার হার ৪.৫০ শতাংশ।২০২২ সালে নথিভুক্ত মামলায় সংখ্যা ৬০১৯ টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৫৬৮৩ টি, সাজা হওয়া মামলার সংখ্যা ৩৯৮ টি।তার মধ্যে নথিভুক্ত মামলার নিরিখে সাজার হার ৬.৪৬ শতাংশ,নিষ্পত্তিকৃত মামলার নিরিখে সাজার হার ৬.৮৪ শতাংশ।২০২৩ সালে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ৫৮৮৬ টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৪৯৭৬ টি,সাজা হওয়া মামলার সংখ্যা ৩৭৫ টি।তার মধ্যে নথিভুক্ত মামলার নিরিখে সাজার হার ৬.৩৭ শতাংশ,নিষ্পত্তিকৃত মামলার নিরিখে সাজার হার ৭.৫৪ শতাংশ।এই তথ্য পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট রাজ্যে অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় সাজার হার অনেকটাই কম। এতে রাজ্যে অপরাধ এবং অপরাধীর সংখ্যাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এর পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুলিশি তদন্তে ব্যর্থতা এবং আদালতে সরকারী আইনজীবীদের দুর্বলতা।শুধু তাই নয়,আর্থিক লেনদেনও এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…