বিধানসভায় কোটি কোটি টাকায় কেনা গাড়ির অপব্যবহার হচ্ছে!!

 বিধানসভায় কোটি কোটি টাকায় কেনা গাড়ির অপব্যবহার হচ্ছে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের
সরকারী অর্থে আমোদ-প্রমোদ অব্যাহত রয়েছে।এ লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের কোষাগার খালি করে প্রায় প্রত্যেক মাসে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রতিযোগিতা চলছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। অথচ এই বিলাসবহুল গাড়িগুলি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কেনা হলেও তা সরকারী কাজে কম ব্যবহার হচ্ছে।উল্টো গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে আনন্দ উল্লাসের কাজে।অবাক করার বিষয় হলো এ ধরনের ঘটনা খোদ রাজ্য বিধানসভায় পর্যন্ত চলছে।ফলে রাজ্য সরকারের কোষাগার ফাঁকা করে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে।অভিযোগ রাজ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখলের পরই রাজ্য বিধানসভার জন্যে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করা হয়।আবার কিছু গাড়ি ভাড়াও নেয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।রাজ্যে পূর্বতন সরকারের সময় বিধানসভায় নিজস্ব গাড়ি ছিল মাত্র ছয়টি।যা বর্তমান সরকারের সময় বেড়ে দাঁড়াল ১৬ টিতে। রহস্যজনক ঘটনা হলো এই গাড়িগুলির জন্যে ১৬ জন সরকারী ড্রাইভার নেই।
বিধানসভা সূত্রে খবর পূর্বতন সরকারের সময় যে গাড়িগুলি ছিল তা বর্তমানেও ব্যবহারের উপযুক্ত। অভিযোগ এক অদৃশ্য কারণে রাজ্যে বিধানসভা বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর জন্য রাজ্য কোষাগার ফাঁকা হলো। অভিযোগ এই বিলাসবহুল গাড়িগুলি সরকারী কাজে ব্যবহার হচ্ছে না।ব্যবহার হচ্ছে আনন্দউল্লাসের জন্য। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ সাধারণ নিয়মে একটি গাড়ি সরকারী কাজে ব্যবহারের জন্য পাবেন। বিধানসভায় গুঞ্জন অধ্যক্ষকে বিপাকে ফেলার জন্য তার নামে আরও ৪ টি রাখা হয়।এর মধ্যে আবার ১টিগাড়ি নতুন করে ক্রয় করা হয়েছে।অবাক করার বিষয় হলো এই গাড়িগুলি অধ্যক্ষ সরকারী কাছে ব্যবহার করছে না। অভিযোগ,এর মধ্যে দুটি গাড়ি উত্তর জেলায় চলাচল করছে।প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুটি গাড়ি উত্তর জেলার বিভিন্ন শহরে ও বাজারে চলছে।আরেকটি গাড়ি এনআইটি আগরতলায় ব্যস্ত।চলাচল – করছে।আর অন্য একটি গাড়ি ধর্মনগর থেকে রাজধানীতে যাতায়াত করে যাচ্ছে।অবাক করার বিষয় হলো গাড়িগুলি সরকারী অর্থে ক্রয় করা হলেও সরকারী কাজে ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ।আবার গাড়ির জন্য একজন ভাড়া করা ড্রাইভারও রয়েছে।অথচ এই গাড়ির পেট্রোলের অর্থ সহ বাকি সব খরচ রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে।অভিযোগ, শুধু তাই নয়, বিধানসভার উপাধ্যক্ষকেও ফাঁসানোর জন্যে একই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে।সাধারণ নিয়মে উপাধ্যক্ষের জন্যে একটি গাড়ি রয়েছে।এই গাড়ি দিয়ে তিনি সরকারী কাজ করছেন।অভিযোগ, উপাধ্যক্ষের নামেও আরেকটি বিলাসবহুল গাড়ি রাজধানীতে চলছে।এই গাড়িটি সরকারী কাজে ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ।রহস্যজনক ঘটনা হলো উপাধ্যক্ষের নামে চলা এই দুটি গাড়ির ড্রাইভার আবার ব্যক্তিগত। নিয়মানুযায়ী উপাধ্যক্ষের নিরাপত্তার জন্যে থাকবে সরকারী ড্রাইভার।
একইভাবে বিধানসভার চিফ হুইপকেও ফাঁসানো হচ্ছে। অভিযোগ বিধানসভার চিফ হুইপের নামেও তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। অথচ তিনি ব্যবহার করছেন মাত্র ১ টি গাড়ি।এক্ষেত্রেও সরকারী ড্রাইভার নেই। অভিযোগ তার নাম ব্যবহার করেও দুটি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হচ্ছে।অথচ উপাধ্যক্ষ এবং চিফ হুইপের জন্যে বরাদ্দ এই গাড়ি গুলির পেট্রোলের অর্থ সহ বাকি সব খরচ রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে। এভাবেই বিধানসভার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, চিফ হুইপকে ফাঁসানোর নামে বিধানসভার একটি চক্র নিজেদের শ্রীবৃদ্ধিতে ব্যস্ত রয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার জন্যে কোনও সরকারী গাড়ি ক্রয়ের অর্থ রাজ্য সরকারের কোষাগারে নেই। বিরোধী দলনেতার জন্যে গাড়ি ভাড়া করে আনতে হচ্ছে।যা ভূভারতে হচ্ছে না।
অভিযোগ লুটপাট কি পর্যায়ে হচ্ছে তা বিধানসভার ০৮২৩, ০৪০০, ২৩২১ এবং ৩৫৮৭ এই চারটি নম্বরে গাড়ি লগ বই দেখলেই বোঝা যাবে। অভিযোগ এই চারটি গাড়ি বিধানসভার কয়েকজন প্রভাবশালী গ্রুপ সি কর্মচারীরা ব্যবহার করছে। তারা কোন্ ক্ষমতাবলে এই গাড়ি ব্যবহারের যোগ্য বলে বিবেচিত হলেন?এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.