অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদ ৫১ হাজার ৭৮৪টি।নিয়োগ নেই।২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শূন্যপদ হল ৫১৭৮৪টি। রাজ্যে গত সাত বছরে সাতটি দপ্তরে ২৭,২২৭জন (৪০.১২%) কর্মচারী কমে গেছে। অথচ গত সাত বছরে রাজ্যে নিয়মিত পদে চাকরি হল মাত্র ১২ হাজার পদে।বিজেপি সরকার চাইলে প্রায় ৬০ হাজার বেকার যুবক যুবতীদের নিয়মিত পদে সরকারী চাকরি দিতে পারে। কিন্তু তা করছে না বেকারবিরোধী সরকার। রাজ্যে সরকারী চাকরি ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগেন সিপিএম বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ।
শুক্রবার মেলারমাঠ ছাত্র যুবভবনে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিককে পাশে বসিয়ে তার অভিযোগ, রাজ্যে বেকার ঠকানোর রাজত্ব কায়েম হয়েছে।তাই একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় এমনকী গত তিন বছরে রাজ্যের এডিসিতেও নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ। তার আরও অভিযোগ,বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ৫০ হাজার সরকারী চাকরি প্রদান করার।বিজেপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭ বছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বেকারের সরকারী চাকরি হবার কথা।তার ধারে কাছেও চাকরি হয়নি। বিজেপির প্রতিশ্রুতি বর্তমানে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।তার অভিযোগ, তথ্য জালিয়াতি করে রাজ্যের বেকারদের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে বিজেপির নেতা, বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা। অথচ এরাই ২০১৭ সালে বলেছিল রাজ্যের বেকারদের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার।
সিপিএম বিধায়ক শৈলেন্দ্রবাবুর দাবি,ত্রিপুরা বিধানসভার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে শূন্যপদ ৬৯০৪টি। মাধ্যমিক শিক্ষায় ৪০৩২টি। উচ্চশিক্ষায় ১০০৯টি।স্বরাষ্ট্র দপ্তর (পুলিশ) ৭৫১৫টি। টিএসআর ২৪০৫টি। ডাক্তার ১৮৮৮টি।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ৫৮২০টি। নার্স ৫১১২টি। স্বাস্থ্য কারিগরি কর্মী ১১৯৭টি। পিডব্লিউডি (আরঅ্যান্ডবি) ৩৬০৫টি। কৃষি ২০৭৫টি। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ১৫৩৩টি। গ্রামীণ উন্নয়ন ১১৪১টি। রাজস্ব ১১৩৪টি। ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক ৭৬২টি। ফায়ার সার্ভিস ৭৩৪টি। বন ৬২৬টি। পিডব্লিউডি (ডব্লিউআর) ৫১৪টি।তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপসরণকারী কল্যাণে ৪৫৩টি। মৎস্য ৪৪৪টি। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরে শূন্যপদ ৪০৮টি।তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক দপ্তরে ৩৭৪টি।অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকা ৩৩৬টি।তাঁত,হস্তশিল্প ও রেশম চাষ ২৬৪টি।সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা ২৪৫টি। অর্থ দপ্তরে ২৪০টি।খাদ্য দপ্তরে ২২৮টি। পিডব্লিউডি (ডিডব্লিউএস)২০৯টি। সাধারণ প্রশাসন (মুদ্রণ) ১৮৯টি। কর্পোরেশন ১৫৬টি। বিদ্যুৎ ১৫৫টি। পরিকল্পনা ও সমন্বয় ৮৩টি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৭১টি। পর্যটন ৫১টি, তথ্য প্রযুক্তি ৪০টি। কর্ম বিনিয়োগ ৩৩টি। সংখ্যালঘু দপ্তর ২৩টি। নগর উন্নয়ন ১৮টি। আইন দপ্তর ১৬টি। পরিবহণ ১০টি। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরে ৯টি শূন্যপদ সহ রাজ্য সরকারের ৪২টি দপ্তরে শূন্যপদ ৫১৭৮৪টি। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেবের অভিযোগ, নিয়োগ না থাকলেও অফার বন্টনের নামে বেকারদের নিয়ে আবার ফটোসেশনে খামতি নেই। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্য মাত্র সাত বছরে প্রায় ২৮ হাজার শূন্যপদ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে আরও হাজারো শূন্যপদ অবলুপ্ত হবে। এরপরও বিজ্ঞাপনের সরকারের হুঁশ নেই। এর বিরুদ্ধে এখন রাজ্যব্যাপী পথে নামবে বাম ছাত্র যুবরা। ব্রাম বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ আরও জানান, গত সাত বছরে সাতটি দপ্তরে ২৭,২২৭ জন (৪০.১২%) কর্মচারী কমে গিয়েছে। এই সংখ্যা শুধুমাত্র একটি ‘পরিসংখ্যান নয়, বরং সরকারের অব্যবস্থাপনা ও জনগণের প্রতি দায়িত্বহীনতার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই ৪০.১২% কর্মী হ্রাসের প্রভাব সরাসরি রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপর পড়ছে। শিক্ষার মান কমছে। রাস্তার কাজ থমকে আছে। পশু সম্পদ ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা। জনগণ জানতে চায়, কেন রাজ্যের যুবক যুবতীদের চাকরির সুযোগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে?
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ফলাফল প্রকাশ হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।একযোগে রাজ্য পর্ষদের মাধ্যমিক,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সি-প্লেন পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দপ্তর।রাজ্যের সি-প্লেন পরিষেবা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান সরকারের শ্লোগান হচ্ছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কিন্তু বাস্তবে এই শ্লোগান কতটা…
বাণিজ্য সংকট বলতে আমরা সাধারণত কী বুঝি?অথবা বাণিজ্য সংকট কাকে বলে?খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে,…
অনলাইন প্রতিনিধি :- অনেক রাতে এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে বিলম্বিত বিমান যাত্রীরা আবারও যানবাহনের অভাবে চরম…
অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করেছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের…