বিপদে শুধু মাথা বাঁচাবে না, গুলীও করবে হেলমেট!!
দেশ-দুনিয়ায় এখন ‘ইনোভেশন’ বা উদ্ভাবনী শক্তির ব্যাপক যে গতিতে পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করতে হলে সবচেয়ে বেশি দায় বর্তায় তরুণ প্রজন্মের উপর। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলিরও
দায়িত্ব বেড়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলি যদি তরুণদের উন্নত চিন্তার বিকাশের স্বাধীনতা দেয়, তাহলে নতুন জিনিস, নতুন আবিষ্কারের
উদ্ভব হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিগত বছরগুলিতে নতুনত্বের উপর খুব জোর দিয়েছেন। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত গবেষণার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সূত্রে বদলে যাচ্ছে তরুণদের চিন্তাধারা। তারা এখন ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন। তেমনই কিছু ঘটেছে গোরক্ষপুরের ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট (আইটিএম) গিডায়। আইটিএম গিডার ছাত্রীরা এমন একটি হেলমেট উদ্ভাবন করেছেন যা শুধু মাথাই বাঁচাবে না, বিপদে পড়লে তা থেকে গুলীও ছোড়া যাবে। দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও
আধাসামরিক বাহিনীর জন্য এটি একটি কার্যকর অস্ত্র হতে পারে বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রীরা। এর বিশেষত্বও আকর্ষণীয়। গোরক্ষপুর আইটিএম গিডার ছাত্রীদের উদ্ভাবিত এই হেলমেট থেকে স্বয়ংক্রিয় ফায়ারিং হবে। ছাত্রীরা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি এই হেলমেট দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনা এবং পুলিশ বাহিনীর জন্যেও খুব সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। এই হেলমেটের আরও কাজ আছে। তুষারপাতের সময় সীমান্তে টহলরত সৈন্যরা মাঝে-মধ্যে বরফের খাঁজে আটকে পড়েন অথবা নিখোঁজ হয়ে যান। এই ধরনের পরিস্থিতিতে এই
হেলমেটের ভিতরে বসানো জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের
মাধ্যমে আটকে পড়া সেনাদের অবস্থান সনাক্ত করা যায়। প্রয়োজন হলে এই হেলমেট ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরেও ফায়ারিং করতে সক্ষম। এই হেলমেটের ডেমো পাঠানো হয়েছে অনেক কোম্পানি ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছে। চাহিদা বাড়লে বড় পরিসরে এটি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করা হবে। গিডার ছাত্রীরা জানান,
এই হেলমেট তৈরিতে ১টি ব্যারেল, ১টি ট্রান্সমিটার, ১টি রিসিভার বুলেট, ১টি
এইচডি পোর্টেবল ডিভিআর, ব্যাটারি, ১টি সোলার প্যানেল, ১টি রিমোট, ১টি ইন্ডিকেটর, ১টি ট্রিগার ব্যবহার করা হয়েছে। ছাত্রীরা জানান, ইলেকট্রনিক বন্দুক তৈরি করতে প্রথমে ব্যারেলকে এ ধরনের বন্দুকে রূপান্তর করা হয়। হেলমেটের ম্যাগাজিনে মোট ৪টি বুলেট লোড করা যায়। তারপর হেলমেটে ট্রিগার টিপে পর পর ৪টি গুলী ছোড়া যায়।