অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ার
ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে-এই মর্মে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার পর পুলিশ অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।গত কুড়ি সেপ্টেম্বর রীতা বণিকের বিমান বন্দরে মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার স্বামী শ্যামল বণিক মূলত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতায় তার স্ত্রী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে বিমানবন্দর থানায় গত পঁচিশ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।মামলা হাতে পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ তদন্তে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে যায়। রিপোর্টিং কাউন্টারের টিকিট বুকিং কম্পিউটারে সেদিনের যাত্রীর তালিকা,সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সহ অন্যান্য কিছু বিষয় পুলিশ খতিয়ে দেখছে।বিমানবন্দরে ও বিমানবন্দর থানায় ডেকে এনে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সেদিনের ঘটনায় যেসব বিমানকর্মী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাত্রী রীতা বণিক ও তার স্বামী শ্যামল বণিকের সঙ্গে বুকিং কম্পিউটারে টিকিটে শ্যামল বণিকের ভুল টাইটেল তথা পদবি লেখা রয়েছে বলে তর্কবিতর্কে জড়িয়েছে পুলিশ তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।সেদিন রীতা বণিক ও তার স্বামী শ্যামল বণিক এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সকালের বিমানে কলকাতায় যেতে বিমানবন্দরে আসেন। রিপোর্টিং কাউন্টারে বোর্ডিং কার্ডের জন্য বিমানকর্মীর হাতে টিকিট দিলে কাউন্টার থেকে বিমানকর্মী বলে দেন শ্যামল বণিকের নামের পদবি ভুল আছে।বণিক নয়, ভৌমিক লেখা রয়েছে বলে কাউন্টারের বিমানকর্মী বলেন,শ্যামল বণিক বিমানে কলকাতায় যেতে পারবেন না।তাতে বয়স্ক রীতা বণিক প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে ঘাবড়ে যান।স্বামী ছাড়া একা কীভাবে বিমানে কলকাতায় যাবেন সেই দুশ্চিন্তায় কাবু হয়ে যান রীতা বণিক। ফলে বিমানকর্মীরা রীতা বণিককে একা দ্রুত বিমানে চলে যেতে বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। ফলে মুহূর্তের মধ্যে অসুস্থতাবোধ করতে থাকেন রীতা বণিক।রিপোর্টিং কাউন্টারের সামনে থেকে পটুনগরে তার ছেলে সুব্রত বণিককে ফোনে বিষয়টি জানালে সেই ফোনে তার ছেলে বিমান সংস্থার এক সিনিয়র কর্মীকে শ্যামল বণিকের নামের পদবি ঠিক আছে বলে ভালো করে আবার বুকিং কম্পিউটারে চেক করার জন্য অনুরোধ জানান।তখন সিনিয়র কর্মী কম্পিউটারে বুকিং নামের তালিকা টিকিটের পিএনআর দিয়ে চেক করলে দেখা যায় শ্যামল বণিকের নামের পদবি ভৌমিক নয়,সঠিকভাবে বণিকই লেখা রয়েছে। তারপর বোর্ডিং কার্ড দিলে স্বামী, স্ত্রী সিকিউরিটি চেক হয়ে সিঁড়ি বেয়ে বিমান ধরতে উপরে লাউঞ্জে ওঠার পরই আচমকা রীতা বণিক ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন।সেখানেই রীতা বণিকের মৃত্যু হয় বলে থানায় দায়ের করা এফআইআরে স্বামী শ্যামল বণিক তা উল্লেখ করেন।সেই সময় বিমানবন্দর টার্মিনালের এসি চালু না থাকায় যু প্রচণ্ড গরমে রীতা বণিক আরও অস্বস্তির মধ্যে পড়েছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকে ফোন করে শনিবার রাতে এই বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, পুরো ঘটনার বিষয়ে নানাভাবে তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বিমানকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি ও উদাসীনতার প্রমাণ মিললে দোষীে বিমানকর্মীদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নানা সূত্রে দাবি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…