বিমানের যাত্রী সেজে পাচার চক্র সক্রিয়, ধৃত দুই!!

 বিমানের যাত্রী সেজে পাচার চক্র সক্রিয়, ধৃত দুই!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে বহিঃরাজ্যের পাচারকারীরা বিমানে পাচারকার্য চালাতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।বিমানের টিকিট নিয়ে যাত্রী সেজে লাগেজে পাচার সামগ্রী নিয়ে সোজা বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে ঢুকে যাচ্ছে। গাঁজা ও স্বর্ণ-মূলত এই দুই ধরনের পাচারকাজে বিমানবন্দর ও বিমানকে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। তবে বিমান বন্দরে পাচার সামগ্রী নিয়ে ধরাও পড়ছে পাচারকারীরা।শনিবারও যাত্রী সেজে বহিঃরাজ্যের বাসিন্দা দুই পাচারকারী লাগেজে গাঁজা ঢুকিয়ে বিমানে যাওয়ার জন্য এসে পাকড়াও হয়েছে।দুই পাচারকারী বাড়ি বিহারের পাটনায়।ইন্ডিগোর কলকাতাগামী বেলা ১১ টায় বিমানে দুটি ল্যাগেজ ভর্তি করে গাঁজা নিয়ে আসে। নিরাপত্তায় লাগেজ এক্সরে করার সময় ইন্ডিগোর নিরাপত্তা কর্মীরা লাগেজে গাঁজার সন্ধান পান।তারপর দু’টি লাগেজ খোলা হয়। দুই লাগেজে মিলে ভেতরে ২০ কিলো গাঁজা পাওয়া যায়। গাঁজা উদ্ধারের পর দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে বিমানের টিকিট বাতিল করা হয়।ধৃত পাচারকারী একজনের নাম মহম্মদ সাজ্জাদ (৩২) ও অপর জনের নাম দিনেশ কুমার (৩৪)।পাচারকারীকে ধৃত দুই সিআইএসএফ বিমানবন্দর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।পুলিশ জানিয়েছে ধৃত দুই পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগরতলায় কোন পাচারকারী চক্রের সঙ্গে তারা যুক্ত আছে সেই সব বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও বিমানবন্দর থানার পুলিশ জানায়।তবে এর আগেও বহু দিন আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বিমানেকরে পাচার করতে গিয়ে বিমান বন্দরে ধরা পড়েছে।কোন সময় বিমান সংস্থার লাগেজ এক্সরের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আবার কখনো সিআইএসএফের হাতে ধরা পড়েছে।গাঁজা ছাড়াও যাত্রী সেজে স্বর্ণ পাচার করতে গিয়েও পাচারকারী ধরা পড়েছে।লাগেজে ঢুকিয়ে নানা কায়দায় প্যাকেট করে স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে এসে ধরা পড়েছে। লাগেজ ছাড়াও পাচারকারীরা শরীরের নানা জায়গায় স্বর্ণ লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় শরীরর তল্লাশির সময় ইতিপূর্বে সিআইসএফ প্রচুর স্বর্ণের বিস্কুট ও স্বর্ণের টুকরো উদ্ধার করেছে।ক’দিন পরপরই পাচারকারীরা বিমান বন্দরে গাঁজা ও স্বর্ণ নিয়ে এসে ধরা পড়েছে।শুধু বহিঃরাজ্যের পাচারকারীরা নয়, আগরতলা তথা ত্রিপুরার বাসিন্দা পাচারকারী যেমন ধরা পড়েছে, তেমনি বাংলাদেশের পাচারকারী চক্রও ধরা পড়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। কারগো বুকিং করে বিমানে মালপত্র নেওয়ার সময়ও গাঁজা ধরা পড়ছে। কারগো বুকিংয়ে পাচারকারীরা বহিঃরাজ্যে গাঁজা পাচার করার জন্যও অতি সক্রিয়। এদিকে আরও কড়া নজর দেওয়ার দাবি উঠেছে।আগরতলা বিমানবন্দরে কারগো বুকিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে একমাত্র ইন্ডিগো। বিমানবন্দরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাচারকারী যাত্রী কাছ থেকে কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তরের অফিসাররও স্বর্ণ উদ্ধার করে আটক করেছেন।
বিমানবন্দরে রাজ্য পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখার পুলিশও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাচারকারী যাত্রীর কাছে থেকে স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। ফলে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর ব্যবহার করে পাচারকারী চক্র অতিসক্রিয় রয়েছে। বিমান। বন্দর সিআইএসএফের দাবি পাচারকারী চক্রের বিষয়ে কড়া নজরদারি রেখেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.