বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণ না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে!!

 বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণ না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- বহি:রাজ্যে যাতায়াতে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আগরতলা সেক্টরে বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণ হচ্ছে না। বরং বিমান কমে যাচ্ছে। উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই আগরতলা সেক্টর থেকে বহি:রাজ্যে যাতায়াতে যাত্রী ভিড়ের সুযোগ নিয়ে বিমান সংস্থাগুলি সারা বছরই লাগাম ছাড়া ভাড়া তথা টিকিটের মূল্য নিচ্ছে বলে যাত্রীর অভিযোগ। আগরতলা সেক্টরে বিমান পরিষেবার সুযোগ সম্প্রসারণেও যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (দপ্তর) কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিমান পরিষেবায় সুবিধা আরও কমে যাচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রে একই দলের পরিচালিত সরকার যাকে ডবল ইঞ্জিনসরকার বলা হচ্ছে সেই সুবিধাও বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণে মিলছে না বলেও যাত্রী সাধারণের অভিযোগ। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পরেও আগরতলা থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমানে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে উঠেনি। শুধুমাত্র আগরতলা থেকে সরাসরি বিমানে যাতায়াত করা যায় কলকাতা, গুয়াহাটি, দিল্লী, বেঙ্গালুরু, ইম্ফল ও শিলংয়ে। আগে চেন্নাইয়ে বিমানে সরাসরি যাতায়াত করা যেত। ইন্ডিগো এই বিমানটি তুলে নেয়। আগরতলা থেকে হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, আমেদাবাদ, মুম্বাই ইত্যাদি রুটে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার দীর্ঘ দিনের দাবি রাজ্যবাসীর। কিন্তু রাজ্যবাসীর দাবি পুরণে কোনও বিমান সংস্থা এগিয়ে আসছে না। রাজ্যে সবদিকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এখনও গড়ে না উঠায় প্রতিদিন অনেক রোগীকে চেন্নাইয়ে এবং উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগরতলার সঙ্গে সরাসরি য়নি। বিমান পরিষেবা চালু না থাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বিমানে চেন্নাই নিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।কলকাতা বা গুয়াহাটি গিয়ে অন্য বিমান ধরে তারপর চেন্নাইয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। হায়দ্রাবাদেও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন অনেক রোগী যাচ্ছেন। কিন্তু বিলে সেই ক্ষেত্রেও যাতায়াতে সরাসরি বিমান না থাকায় কলকাতা ও গুয়াহাটি গিয়ে বিশাল পদে অন্য বিমান ধরতে হচ্ছে। মুম্বাইয়েও বিশেষ করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও একই অবস্থা কলকাতা ও গুয়াহাটিতে গিয়ে অন্য বিমান ধরতে হচ্ছে। শুধু রোগীই নয়, বহি:রাজ্যের এইসব বড় বড় প্রীয় শহরে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা লাভের পাশাপাশি চাকরি করতেও যাচ্ছেন। সকলকেই সরাসরি বিমানের অভাবে যাতায়াতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু এই রুটেও দিন দিন বিমান সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আগে ইন্ডিগোর এই রুটে সাতটি বিমান ছিল। এখন কমিয়ে পাঁচটিতে নিয়ে আসে। একটি ৭২ আসনের এটিআর বাকি ৪টি ১৮০ আসনের এয়ারবাস। এয়ার ইন্ডিয়ার মাত্র দুটি বিমান এই রুটে চালু রয়েছে। একটি ১৪৪ আসনের এয়ারবাস ও অপরটি ১২২ আসনের এয়ারবাস। তবে সোমবার থেকে এয়ার ইন্ডিয়া রাতের ১২২ আসনের বিমানটি তুলে নিয়ে এই জায়গায় বেশি আসনের অর্থাৎ ১৮৬ আসনের এয়ারবাস দেওয়া হচ্ছে। তাতে ৬৪টি আসন বাড়ছে। কদিন আগে ফ্লাই বিগের বিমান পরিষেবাও তুলে নেওয়া হয়। গত কয়েক বছরে জেট এয়ার ওয়েজ, এয়ার এশিয়া, স্পাইস জেটের বিমানও তুলে নেওয়া হয়।
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সংখ্যা যেমন বাড়ানো হচ্ছে না, তেমনি নতুন কোনও বিমান সংস্থার বিমানও আগরতলা সেক্টরে পরিষেবা চালু করবে বলে কোনও খবর নেই বিমান বন্দরে। রাজ্য সরকার দু’বছর আগে বিমান জ্বালানির উপর (এটিএফ) জিএসটি কমিয়ে মাত্র এক শতাংশ নিয়ে আসায় বিমান বন্দরে জ্বালানির মূল্য অনেকটা কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন বিমান সংস্থার বিমান চালু করা হচ্ছে না। বিমান ভাড়ায় তার কোনও প্রভাব নেই। রাজ্যবাসী বিমান জ্বালানির উপর জিএসটি কমানোয় বিমান ভাড়ায় তার কোন, সুবিধা আজ পর্যন্ত পাননি। বিমান সংস্থাগুলি মর্জিমাফিক ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত জ্বালানির মূল্য কমায় তার সঙ্গে বিমান জ্বালানির মূল্যও সঙ্গতিপূর্ণ রাখার জন্য বিমান জ্বালানির মূল্য গত তিনদিন আগে অনেকটা কমেছে। তাতে বিমান সংস্থাগুলি নতুন করে বিমান টিকিটের মূল্য অর্থাৎ ভাড়া কমানোর দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে, গত ছয় মাস ধরে বন্ধ করে রাখা বিমান বন্দরে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমের সুবিধা (আইএলএস) এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাতে ঘন কুয়াশায় বিমান অবতরণে বিড়ম্বনায় পড়ছে বিমান। সেই কারণে বিমান বাতিল ও বিলম্ব হচ্ছে। কবে আইএলএস সুবিধা চালু হবে সেই বিষয়ে বিমান বন্দরের কেউ জানাতে পারছেন না।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.