দেশের হাজার,লক্ষ,কোটি জনতা আপাতত স্বস্তি পেলেন।স্বাস্থ্যবিমা এবং জীবনবিমায় জিএসটি কমছে।যদিও এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।তবে প্রস্তাব গেছে।স্বাস্থ্যবিমা এবং জীবনবিমাতে জিএসটি কমানোর দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রথম এই দাবিটি করেছিলেন বিজেপি নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।তিনি সরাসরি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমাতে জিএসটি কমানোর দাবি করেছিলেন।বিমা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। সাধারণ মানুষ আগাম বিপদ আঁচ করেই বিমা করেন এবং তাতে যদি লাভের গুড় পিঁপড়ে খাওয়ার মতো অবস্থায় বিমা করাতে গিয়ে জিএসটি বাবদ একটা বিরাট অংশ চলে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?দেশে জিএসটি চালুর পরপরই বিমা কোম্পানিগুলিরও বিভিন্ন পলিসিতে জিএসটি বাড়তে থাকে।ফলে সাধারণ মানুষের উপর বিমা খরচ বাড়তে থাকে।স্বাস্থ্যবিমা মানুষ করান ভবিষ্যতে কোন আগাম স্বাস্থ্যসম্পর্কিত রোগ বা বড় অসুখে পড়লে যাতে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যায় এই কারণে।কিন্তু গত কয়েকবছর ধরেই জিএসটির দৌলতে ই কী জীবনবিমা,কী স্বাস্থ্যবিমাসব খরচই বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের। ফলে এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক চাপ বাড়াতে থাকে।অন্যদিকে বিমা চালানোও অনেকের ক্ষেত্রে অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। ফলে স্বাস্থ্যবিমা হোক কিংবা জীবন বিমাই হোক,অনেকেই মাঝপথে প্রিমিয়াম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।যার ফলে বিমার সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন এটাই স্বাভাবিক।এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠছিলো বিমাতে জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক নয়তো কমানো হোক।এ নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরেই আওয়াজ উঠে। সরকারের উপর চাপ বাড়ে যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি করেন বিমার উপর থেকে। এর পর থেকে বিরোধী দলগুলিও চাপ বাড়ায় সরকারের উপর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যহার কিংবা কমানোর দাবি করেন।
সম্প্রতি জিএসটি মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠক এমর্মে প্রস্তাব নেওয়া হয় যে, স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার ক্ষেত্রে জিএসটি মকুব করা হবে। এর উপরে হলে জিএসটি দিতে হবে।অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে জিএসটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে শর্তসাপেক্ষে। একই সাথে সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।তাদের ক্ষেত্রে কোন সীমা নেই।তবে জীবনবিমার ক্ষেত্রে টার্মভিত্তিক বিষয়ে কোন জিএসটি আসছে না। এমনটাই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে জিএসটি মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে।এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পেতে চলেছে।কেননা বিমা হচ্ছে মানুষের বিপদের সঙ্গী। আগাম বিপদ বা ভবিষ্যতের জন্য মানুষ বহু কষ্ট করে বিমায় পলিসি করে এবং সেই পলিসির জন্য মানুষকে প্রিমিয়াম দিতে হয়।কিন্তু জিএসটির জন্য সেই প্রিমিয়াম অনেকটাই বেড়ে যায়।ফলে মানুষের সাধ থাকলেও তা অনেকে সময় সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই জিএসটি মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে তা সাধুবাদের যোগ্য। এবার জিএসটি কাউন্সিল এর সিদ্ধান্ত নেবার মালিক। জিএসটি কাউন্সিল এতে সিলমোহর দিলে আখেরে তা সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।মানুষ এতে স্বস্তি পাবেন।এটাই কাম্য।
কথা
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…