বিরল প্রজাতির শকুনের দেখামিলল ফাঁসাদ পক্ষী অভয়ারণ্যে
বিগত সাত বছরে এই প্রথম নভি মুম্বাইয়ের ফাঁসাদ পক্ষী অভয়ারণ্যে বিরল প্রজাতির শকুনের দেখা মিলল। থানে বন্যপ্রাণী দপ্তর এবং গ্রিন ওয়ার্কস ট্রাস্টের (জিডব্লুটি ) যৌথ সমীক্ষায় এই বিরল প্রজাতির পাখিটির দেখা মিলেছে। ২০১৫ সালেশেষবারের মতো দেখা মিলেছিল স্থানীয় প্রজাতির এই শকুনের। তারপর থেকে আর এই পাখির দেখা পাওয়া যায়নি। এত বছর পরে আবার এই পাখির দেখা পাওয়ায় খুশি পক্ষীপ্রেমিরা। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ইজিপশিয়ান ভালচার নামের এই বিরল প্রজাতির পাখিটির দেখা গিয়েছে। সহকারী বনপাল নন্দকিশোর কাপ্তে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ ফরেস্ট (আইইউসিএন)-এর তালিকা অনুযায়ী এই ইজিপশিয়ান ভালচার বিলুপ্তপ্রায় পাখির তালিকায় রয়েছে।এবার ফের স্থানীয় এই পাখিটির দেখা পাওয়া গেল। আগামীদিনে ফের এই পাখির দেখা মিলবে বলেই আশা রাখছি।’ শকুন সংরক্ষণের জন্য বার্তা দিতে বন দপ্তরের উদ্যোগে ২০১০ সালে ফাঁসাদে প্রথম ‘ভালচার রেস্টুরেন্ট’ চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছিল
এই শকুনকে। তারপর থেকে এই পাখির দেখাও মেলেনি এবং এই রেস্টুরেন্টে রক্ষণাবেক্ষণ ও সেভাবে হয়নি। এবার আবার নতুন করে এই শকুনের দেখা মেলায় খুশি পক্ষীবিদেরা। কাপ্তে জানিয়েছেন, ২০২১ সালেই বন দপ্তরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে
এই শকুন সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ নেয় জিডব্লুটি । শকুন সংরক্ষণের বিষয়ে থানে বন্যপ্রাণী ডিভিশনের সঙ্গেই কাজ করতে শুরু করে জিডব্লুটি।ফাঁসাদ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হারিয়ে যাওয়া শকুনদের আবার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০২১সালের ডিসেম্বর মাসে ‘প্রজেক্ট জটায় নামের একটি প্রকল্প চালু করে জিডব্লুটি । বিগত ১১ মাসে জিডব্লুটি -র
দল রায়দড় জেলার সাতটি তালুকার ২৭৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং নগর পরিষদে ঘোরে।