২০০৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ বার মহাকাশে এমন মহাজাগতিক দৃশ্যে সাক্ষী হয়েছিল এ পৃথিবী। ১৮ বছর পর আবার সেই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছি আমরা।
শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে শেষ রাতের আকাশে এই দৃশ্য দেখা যাবে। কী হবে ওই দিনগুলিতে? বুধ, মঙ্গল, শুক্র ও শনি- এর চার গ্রহ একই সরলরেখায় চলে এসেছে ইতিমধ্যে। গত ২৬ জুন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডক্টর গিয়ানলুকা মাসি তার টেলিস্কোপে প্রথম আবিষ্কার করেন যে, চাঁদ থেকে পাঁচটি গ্রহকে একই সরলরেখায় দেখা যাচ্ছে।
তিনি ইটালি থেকে ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ ওয়েবসাইটে সেই মহাজাগতিক দৃশ্য বহির্বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানী মহলকে দেখান। তিনি বলেছেন, বুধকে এমনিতে পৃথিবী থেকে সহজে দেখা যায় না।
কিন্তু এখন রাতের চতুর্থ প্রহরে, সূর্যোদয়ের প্রাক মুহূর্তের আলো-আঁধারিতে বুধকেও ঝকঝকে দেখা যাবে। সূর্যোদয়ের আগে ৪৫ থেকে ৯০ মিনিট এই দৃশ্য সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে। সূর্যোদয়ের আগে তাকাতে হবে দক্ষিণের আকাশে। টেলিস্কোপ থাকলে এই দৃশ্য আরও ভাল দেখা যাবে। তবে এখন আর এই দৃশ্য দেখার জন্য চাঁদের পটভূমি দরকার নেই। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আকাশে চোখ রাখলে সেই অনিন্দ্য সুন্দর মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন আপনিও। বুধ, মঙ্গল, শুক্র, শনির সঙ্গে একই সরলরেখায় চলে আসবে চাঁদও। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশে এমন মহাসংযোগ পৃথিবীতে আবার দেখা যাবে ২০৪০ সালে।
পৃথিবী যেমন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে, একইভাবে সৌরমন্ডলের প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে সর্বক্ষণ আবর্তিত হয়ে চলেছে।
যে কোনও সময় একাধিক গ্রহ সরলরেখায় চলে আসে। তবে একই গ্রহ থেকে তা দেখা যায় না। বিষয়টা হল, মঙ্গল থেকে যখন একাধিক গ্রহকে একই সররেখায় চকে আসতে দেখা যায়, পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে সেই সময় তেমনটা হয় না। ফলে একটি একটি গ্রহ থেকে একাধিক গ্রহকে সরলরেখায় দেখা যায় বহু বছরের বিরতির পর। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাষায়, কোনও গ্রহের দৃষ্টিকোণ থেকে এমন ঘটনা আদতে ‘মহাসংযোগ’। একসঙ্গে পাঁচটি গ্রহকে একই সরলরেখায় দেখা বস্তুতই বিরল ঘটনা। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাশ বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ৩৯৭ বছর আগে এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন।
তবে তার টেলিস্কোপেও সেই মহাজাগতিক ঘটনা খুব একটা দৃশ্যমান হয়নি। টেলিস্কোপ আবিষ্কার হওয়ার ১৩ বছর বাদে প্রথম দেখা যায় যে, শনি এবং বৃহস্পতি একই সরলরেখায় এসে পড়েছে। দিনটি ছিল ১৬২৩ সালের ১৬ জুলাই। টেলিস্কোপে দেখা গিয়েছিল, বৃহস্পতি ও শনি মাত্র পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডের ব্যবধানে একই সরলরেখায় চলে আসছে। জুলাই মাসের উত্তর গোলার্ধে সর্বত্র দিন বড় থাকে। সেই মহাজাগতিক মাহেন্দ্রক্ষণটি ছিল সন্ধ্যার কিছু পরে। যেহেতু আকাশ তখনও নিকষ কালো হয়নি, তাই বৃহস্পতি-শনিকে এক সরলরেখায় আসতে দেখা গেলেও ক্যামেরায় সেই দৃশ্যকে স্পষ্টভাবে বন্দি করা সম্ভব হয় নি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…