ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে একসময় দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসবিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া।গত প্রায় এক দশক ধরে বিজেপিবিরোধী জোট গঠনের প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধীদের এই উদ্যোগ নতুন কিছু নয়।বলা যায় পুরনোই। পার্থক্য শুধু একটাই।নাটকের দৃশ্যান্তরের মতো শুধু চরিত্রগুলি পাল্টে যায়। তবে আরও এখটি বিষয় রয়েছে, নাটকে যেমন একজন সূত্রধার গোটা কাহিনীকে একসূত্রে গাঁথার কাজ করে যান,তেমনি রাজনীতির জোটমঞ্চেও একজন সূত্রধার থাকেন।যিনি জোট গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াস চালান।ভারতীয় রাজনীতিতে এই কাজটি বড়ই কঠিন বলে মনে করা হয়।কেননা, সব বিরোধীদের একপাল্লায় তোলা চাট্টিখানি কথা নয়।গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সূত্রধারের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বঙ্গের তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীকে। অনেক দৌড়ঝাপ, বৈঠক-আলোচনা-সমাবেশ হয়েছে।কিন্তু শেষ অবধি কাজের কাজ কিছুই হয়নি।এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সূত্রধারের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে।তিনি এবার বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সাথেও।নীতীশ কুমারের সাথে সাথে মমতা ব্যানার্জীও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মে মাসেই লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, বিজেপিবিরোধী জোট করা কি সম্ভব ? জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে সব আঞ্চলিক দলগুলি কি একজোট হতে পারবে ?রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন,কাজটি অসম্ভব না হলেও ‘কঠিন ও জটিল’ অবশ্যই।এর আগে উদ্যোগগুলি ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে।কে হবেন বিজেপিবিরোধী জোটের মুখ? এই একটি প্রশ্নে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে বিরোধী ঐক্যের প্রয়াস। সব নেতা-নেত্রীদের আকাঙ্ক্ষা থাকে জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের নেতৃত্বে আসার। রাহুল, মমতা, নীতীশ, অখিলেশ, কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে সব বিরোধী নেতা-নেত্রীরাই চান বিজেপিবিরোধী জোটের মুখ হতে। সবাই চান প্রধানমন্ত্রী হতে। এই চাওয়াতে অবশ্য কোনও দোষ নেই দেশের জনগণ চাইলে যে কেউই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারেন। কিন্তু এর আগে যে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে সেটাই আজ পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি তামাম বিরোধীরা। এবারও যে তামাম বিরোধীরা এক পাল্লায় উঠে আসবে তেমন কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নজরে আসেনি।জাতীয় ও রাজ্য রাজনীতির গণিত বলতে সহজ ভাবে আমরা যা বুঝি, তাতে কারোর পক্ষেই এত সহজে একছাতার তলায় আসা সম্ভব নয়। বিজেপিবিরোধী জোট গঠন শুধু মুখে বললেই হয়ে যাবে না। কারণ, এতে রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির শক্তি এবং ক্ষমতা দুটোই হারানোর সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে।নিজ নিজ রাজ্যে কেউই অন্য পক্ষকে জমি ছাড়তে নারাজ।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, তাহলে জোট হবে কী করে? এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালার মতো রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক চিত্রটা একেবারে ভিন্ন।সেখানে একে অপরের প্রবল প্রতিপক্ষ।মতাদর্শহীন জোটের ভবিষ্যৎ যে কচুপাতার জলের মতো, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ক্ষমতার লোভে কংগ্রেসের হাত ধরে মার্কস লেনিনবাদীরা আজ কোথায়? মহারাষ্ট্রে শিবসেনা কংগ্রেসের সাথে জোট করে সরকার গড়লেও সেই সরকার একবছরও কেনি। এমন বহু উদাহরণ আছে। নীতিহীন রাজনীতি ক্ষমতা দখলে সহায়ক, এতে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণই শেষকথা বলে।এটা ভুললে চলবে না। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নীতিহীন বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত সফল হয় কিনা,সেটাই এখন দেখার।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…